আবেদন না করেই কী অনুদান পেলেন শমী কায়সার?
আবেদন করেননি অথচ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পেয়ে গেছেন সরকারি অনুদান। বরাদ্দ হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সরকারি অনুদান পেয়েছেন শমী কায়সার। গতকাল থেকে গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচার করা হচ্ছে। আবেদন না করেই কী অনুদান পেলেন শমী কায়সার? এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সাথে কথা বলেন অনুদান কমিটির সদস্য পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম।
মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি না কে কীভাবে এসব নিউজ করছে। অনেকেই শমী কায়সারের বক্তব্যও দিচ্ছে। অথচ আমি নিজে শমীর সাথে কথা বলেছি। সে আমাকে বলেছে , আবেদন করেননি, এমন কথা কাউকে বলেনি। আর বলবে কী করে, আবেদনের সব কাগজ আমরা পরিক্ষা করেই অনুদান দিয়েছি। আবেদন না করেই অনুদান পেলেন শমী কায়সার, কথাটি সত্য নয়।’
শমী কায়সারকে মোবাইলে ফো্ন করা হলে তিনি এখন কথা বলতে রাজি হননি।
চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রদেয় অনুদানের বিষয়ে শেষ সভায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) আট ছবির সাথে যোগ করা হয় চলচ্চিত্র 'স্বপ্ন মৃত্যু ভালোবাসা'। সিনেমাটি অভিনেত্রী শমী কায়সারের নামেই অনুদান পেয়েছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিকে দেওয়া হয় সরকারি অনুদান।
সুস্থধারার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার চলচ্চিত্রের বিকাশে প্রতি বছর ছবি নির্মাণের জন্য অনুদান দিয়ে থাকে সরকার। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবিকে দেওয়া হয় সরকারি অনুদান।
এর মধ্যে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র এবং পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২৪ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুদানপ্রাপ্তদের নাম জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
শিশুতোষ শাখায় অনুদান পেয়েছে পরিচালক আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং বিলকিস’ ও পূরবী মতিনের ‘খেলাঘর’।
সাধারণ শাখায় অনুদান পেয়েছেন নায়িকা কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’, মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’, কাজী মাসুদের প্রযোজনায় হোসনে মোবারক রুমির ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের প্রযোজনায় হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’।