দেশি কোরিওগ্রাফার নিয়ে ইরান-তুরস্কে শুটিং অনন্ত-বর্ষার

দেশের বাইরের সুন্দর লোকেশনগুলোতে সিনেমার গানের শুটিং হচ্ছে অনেক আগে থেকেই। তবে সেখানে সুযোগ পাননি দেশি কোরিওগ্রাফার। সাধারণত বোম্বের নামি-দামি কোরিওগ্রাফারদের দিয়ে সেই গানের কাজগুলো করানো হয়ে থাকে। ভিন্নতা দেখাচ্ছেন নায়ক অনন্ত জলিল। চলতি সপ্তাহে তিনি গানের শুটিং করতে যাচ্ছেন ইরান। সেখানে কোরিওগ্রাফি করবেন বাংলাদেশের কোরিওগ্রাফার হাবিব রহমান।
এ বিষয়ে অনন্ত বলেন, ‘আমি সব সময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি দেশি চলচ্চিত্রকে বিশ্বমানের করতে। সেই সাথে বাংলাদেশের টেকনিশিয়ানদেরও বিশ্বব্যাপী পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি আমাদের দেশে অনেক মেধা আছে, সুযোগ পেলে তারা ভালো কিছু করছে।
কোরিওগ্রাফার হাবিব রহমান বলেন, ‘আগামী ২৯ মে আমরা গানের শুটিং করার জন্য ইরান যাচ্ছি। ৩০ তারিখ থেকে আমরা শুটিং শুরু করব। প্রথমে একটি রোমান্টিক গানের শুটিং করব। সাথে দুটি রেমান্টিক গানের অংশ বিশেষও শুটিং করব। গানের সঙ্গে নাচ করবেন জনপ্রিয় জুটি অনন্ত-বর্ষা। এরপর আমরা তুরস্কে দুটি গানের অংশ বিশেষ শুটিং করব। দেশে ফিরে আরেকটি নতুন গানের শুটিং করার কথা রয়েছে। ছবিতে মোট চারটি গান ।
হাবিব আরো বলেন, ‘মজার বিষয় হচ্ছে- দর্শক দুটি রোমান্টিক গানে ইরান ও তুরস্কের লোকেশন দেখতে পাবেন। এটা আমাদের দেশে প্রথম বার হচ্ছে। কারণ যারা দেশের বাইরে গানের শুটিং করেন তারা সাধারণত একই স্থানে কয়েকটি গানের শুটিং করে থাকেন, পারলে দুই বা তিন ছবি এক সাথে নিয়ে যান, গানের শুটিং শেষ করে দেশে ফিরেন। এক গানে দুই দেশের লোকেশন আমাদের দেশি ছবিতে এর আগে দেখা যায়নি।
অন্ন্তকে ধন্যবাদ দিয়ে হাবিব বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশে এসে বসে থাকত বম্বের কোরিওগ্রাফাররা। আমাদের সিনিয়দের সাথে সহকারী হিসেবে কাজ করেছে অনেকেই। অথচ আজ আমাদের দিয়ে কাজ না করিয়ে বম্বে থেকে কোরিওগ্রাফার দিয়ে কাজ করাচ্ছেন অনেক নির্মাতা। অনন্ত সাহেবকে ধন্যবাদ ভালো কাজে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এই ছবির গানগুলো নিয়ে আমি চেলেঞ্জ করছি বিদেশি কোরিওগ্রাফারদের।
নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ‘দিন দ্য ডে’। ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি প্রযোজনা-পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করছেন তিনি। ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন বর্ষা।
এফ আই মানিক পরিচালিত ‘চাচ্চু’ ছবির মাধ্যমে কোরিওগ্রাফার হিসেবে কাজ শুরু করেন হাবিব। নৃত্যপরিচালক মাসুম বাবুলের হাত ধরে চলচ্চিত্রে আসেন তিনি। তাঁর সহকারী হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেন। এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শতাধিক ছবিতে কাজ করেছেন। নেত্রকোনার পাহাড়ঘেঁষা এলাকা বিরিশিরিতে বেড়ে ওঠেন হাবিব। ছোটবেলা থেকে ভালোবাসতেন নাচ।