মেয়েরা খুব ভালো পারফর্ম করছে : তুষার খান

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভিতে গত চার মৌসুমের সাফল্যের পর আর একদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে জনপ্রিয় স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো ‘মার্সেল প্রেজেন্টস হা-শো’র পঞ্চম মৌসুম। স্বাভাবিকভাবেই এই শোর হালহকিকত জানতে আগ্রহী দর্শক।
এবার বিচারক হিসেবে থাকছেন চিত্রনায়ক আমিন খান, অভিনেতা তুষার খান ও নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছেন জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা। উপস্থাপনা করবেন ‘মীরাক্কেল’খ্যাত স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান আবু হেনা রনি।
এর আগে দ্বিতীয় মৌসুমে বিচারক ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা তুষার খান। সেই মৌসুমটি দারুণ উপভোগ করেছিলেন। অডিশনেও বিচারক ছিলেন। পঞ্চম মৌসুমেও অন্যতম বিচারক তিনি।
তুষার খান জানালেন, বিভিন্ন বিভাগে অডিশন চলাকালে হাজির ছিলেন। প্রতিযোগীদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ তিনি। প্রতি মৌসুমেই অনুষ্ঠানটির উন্নতি হচ্ছে। তবে তুষার খানের বিশ্বাস, অন্য মৌসুমগুলোর তুলনায় এবারের মৌসুম সেরা হবে। শুধু তিনিই নন, এ কথা বলছেন গ্রুমাররাও।
তুষার খান বললেন, এই শোর জন্য তিনি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন। অনেক ছেলেমেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের পারফরম্যান্স দেখেছেন। তরুণদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ তিনি।
এবারের প্রতিযোগীদের মধ্যে ‘কৌতুক’ই পাচ্ছেন তুষার খান, ‘ভাঁড়ামি’ নয়। তাঁর মতে, ভাঁড়ামি হলো জোর করে হাসানো। আর কৌতুক স্বাভাবিক ব্যাপার। দর্শক পারফরম্যান্স দেখেই হাসবেন। এর জন্য জোরাজুরি করতে হবে না। তিনি বলেন, মানুষকে হাসাতে পারা খুব কঠিন। তরুণ ছেলেমেয়েরা খুব ভালো কাজ করছেন। সবাই এত প্রতিভাবান যে দিন দিন মার্ক দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
এবারের শো নিয়ে তুষার খান বলেন, ‘একেবারে টেকনিক্যাল জায়গা থেকে—ডিরেক্টর, ক্যামেরা, লাইট, বিচারক, গ্রুমার, পারফরমার, উপস্থাপক—সবকিছু মিলিয়ে আমরা পরিবারের মতো হয়ে গেছি। এ ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লাগছে।’
তুষার খানের কাছে এবারের শোর একটি বিশেষ চমক হলো নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ। তিনি বলেন, ‘মেয়েরা খুব ভালো পারফর্ম করছে। তাঁদের আরো ভালো করার ইচ্ছাশক্তিও দেখছি। অনেক মেয়েই স্ট্যান্ড-আপ কমেডি করতে চায়। হয়তো অনেকে পেশা হিসেবে নেবে না, কিন্তু জীবনের একটি অংশ হিসেবে নেবে। মেয়েদের আসা, উৎসাহ, অংশগ্রহণ—এ ব্যাপারটা আমার খুব ভালো লেগেছে।’
তুষার খান মনে করেন, একদিন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিও পেশা হিসেবে খুব ভালো গ্রহণযোগ্যতা পাবে। হয়তো একটু সময় লাগবে। কিন্তু তাঁর বিশ্বাস, হবেই। ‘আমরা যখন নাটক শুরু করি, আমাদের অগ্রজরা যখন শুরু করেন, তখন কেউই ভাবিনি, নাটককে পেশা হিসেবে নিতে পারব। কিন্তু একটা সময় হয়ে গেছে, চলছে বছরের পর বছর। স্ট্যান্ড-আপ কমেডিও একদিন পেশা হবে, একটু সময় লাগবে হয়তো,’ বলেন তিনি।
২৪ অক্টোবর থেকে সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে এনটিভিতে প্রচার হবে ‘হা-শো’।
বাংলাদেশের ছয়টি বিভাগীয় শহর থেকে প্রাথমিক বাছাই করে মোট ৩৬ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘হা-শো’র মূল অনুষ্ঠান। প্রতি পর্বে সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে নির্বাচিত প্রতিযোগীকে নিয়ে পরবর্তী রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত পাঁচজন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে লড়াই করবেন। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন হবেন একজন।
এনটিভি আয়োজিত ‘হা-শো’ বাংলাদেশের জোকস পারফরম্যান্সভিত্তিক প্রথম রিয়্যালিটি শো।