ফ্যামিলি প্যাকে সাড়া চারগুণ বেশী : তোজো
এনটিভিতে আজ রাত পৌনে ৯টায় প্রচারিত হবে আলী ফিদা একরাম তোজো পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি প্যাক’। ‘ফ্যামিলি প্যাক’ ধারাবাহিক নাটকটি নিয়ে আলী ফিদা একরাম তোজো কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : ‘ফ্যামিলি প্যাক’ নাটকটির সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
উত্তর : আমার সঙ্গে সরাসরি পাঁচ হাজার মানুষের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরা নাটকটি দেখে ভালো ফিডব্যাক দিচ্ছেন। এ ছাড়া ‘ফ্যামিলি প্যাকের’ অফিশিয়াল ফ্যান পেজে অনেক ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, যাঁরা প্রতিনিয়ত তাঁদের ভালোলাগা-মন্দলাগার কথা আমাদের জানান। আনন্দের খবর হলো এর আগে ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করে আমি যতটা সাড়া পেয়েছি, এর থেকে চারগুণ বেশি এই নাটকটিতে পাচ্ছি। দৈনিক পত্রিকাগুলোতে নাটকের খবর ও শিল্পীদের সাক্ষাৎকার আমরা সব সময় পাচ্ছি। এ থেকেই আমরা ধরে নিচ্ছি আমরা ভালো কিছু করছি।
প্রশ্ন : দর্শক টেলিভিশনে ধারাবাহিক নাটক এখন কি দেখছে? আপনার ধারণী কি?
উত্তর : এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ১২ বছর আগে দর্শক অনেক বেশি ছিল। এখন দর্শক দিন দিন কমছে। পরিকল্পনাহীনতার জন্য এ রকম হচ্ছে। ২১ মিনিটের নাটকে দুবার বিজ্ঞাপন বিরতি দেওয়া হয়। ৯ থেকে ১১ মিনিটের বিজ্ঞাপন হয়। অনেক সময় দর্শক জানতেও পারে না কখন বিজ্ঞাপন শেষ হবে। দর্শক চাইলে অন্য চ্যানেল দেখতে পারে। তাই আমরা হয়তো কাউকে ধরে রাখতে পারছি না। তবে এটা আমার নিজের কথা। মার্কেটিংয়ের বিষয় হয়তো ভিন্ন। তাদের জন্য বিজ্ঞাপনের সময় কম দেওয়া হয়তো অনেক কঠিন। সবকিছুর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা যদি মানা হয়, তাহলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হবে।
প্রশ্ন : ‘ফ্যামিলি প্যাক’ নাটকটির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কী রকম?
উত্তর : অনেক ভালো। আমরা সবাই পরিবারের মতোই শুটিং করছি। বনানীর একটা বাসা ভাড়া নিয়ে আমরা এই নাটকটির শুটিং করি। এই বাসায় আর কোনো নাটকের শুটিং হয় না। নাটকটির শুটিয়ের সময় আমি বাড়তি কোনো চিন্তা করি না। কাজটা আমার তুলার মতো হালকা মনে হয়। বাসায় ছুটির দিন যেভাবে কাটাই, শুটিং স্পটেও ঠিক সেভাবেই যেন সময় পার করি। কোনো শিল্পীর জন্মদিন অথবা যে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন আমরা স্পটেই করে থাকি। তবে শিল্পীরা কিন্তু আমাকে মিষ্টি যন্ত্রণাও দিয়ে থাকে। কেউ সেটে একটু দেরি করে আসবে, আবার কেই এসে বলবে ওয়াশরুম আমার পছন্দ হয়নি, কেই বলবে খাবার খেতে ভালো লাগছে না। একটা পরিবারে যেরকম খুঁনসুটি হয়, নাটকের সেটেও সে রকমই হচ্ছে। তবে আমার শিল্পীভাগ্য অনেক ভালো। কায়েস চৌধুরী, উর্মিলা, স্পর্শীয়া, মিশু, তৌসিফ, বুড়ি আলী সবাই অনেক ভালো। উর্মিলা আমার একটি নাটকে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছে।
প্রশ্ন : ‘ফ্যামিলি প্যাক’ নাটকে বাড়ির মেয়েরা সাইকেল চালায় কেন?
উত্তর : বাড়ির বাবা কায়েস চৌধুরী আংশিক গণতান্ত্রিক ও আংশিক স্বৈরতান্ত্রিক।
তিনি ভেবেছেন, ছেলেরা বাইরে গেলে টাকা কম লাগে কারণ তারা বাইক অথবা সাইকেলে সহজে যাতায়াত করতে পারে কিন্তু মেয়েরা পারে না। শুধু যাতায়াতের জন্য তাদের অনেক টাকা দিতে হয়। এ জন্য তিনি মেয়েদের সাইকেল কিনে দেন। তিনি নিজের ছেলেমেয়েদের সম্পত্তি মনে করেন।
প্রশ্ন : ‘ফ্যামিলি প্যাক’ নাটকটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী রকম?
উত্তর : নাটকটি ১০৪ পর্ব পর্যন্ত নির্মাণ করব। যেহেতু নাটকটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তাই কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে এটা আরো বাড়াতে পারি। নাটকটি নিয়ে বরাবরই আমার প্রত্যাশা ভালো ছিল।