মম, বাঁধন, মুনমুনের বৈশাখ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/04/14/photo-1429005159.jpg)
মম, বাঁধন ও মুনমুন। ২০০৬ সালে লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীর মুকুট পরার পরপরই রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়ে যান এই তিনজন। এর কারণ, ক্যারিয়ারের শুরুতে ভালো মানের কাজ করে তাঁরা জয় করে নিয়েছেন অগণিত দর্শকের হৃদয়। তারকা হয়ে ওঠার আগে পয়লা বৈশাখে কী করতেন আর এবার কীভাবে বর্ষবরণ করবেন, তা জানিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
মম
অভিনেত্রী ও মডেল
আমি নিজেকে কখনো তারকা ভাবি না। আমার কাছে আমি আগের মতোই। আগে পয়লা বৈশাখে পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সময় পার করতাম। এখনো তা-ই করি। আমার মধ্যে কোনো পরিবর্তন আসেনি। প্রতি পয়লা বৈশাখে আমি নিজে রান্না করি। এবারের পয়লা বৈশাখ আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। যদিও ব্যক্তিগত কারণে এবারে পয়লা বৈশাখে আমি দেশের বাইরে থাকছি। দুদিন পর দেশে ফিরব। ভক্তদের উদ্দশে বলব, নতুন বছরে তাঁদের জন্য অনেক শুভকামনা। তাঁদের জীবন যেন ‘ছুঁয়ে দিলে মনময় হয়’।
বাঁধন
মডেল ও অভিনেত্রী
বৈশাখের সকালে লাল শাড়ি ও চুল খোঁপা করে আমার মেয়ের সঙ্গে আমি ঘুরতে বেরিয়ে যাব। প্রথমে প্রযোজক আলী বশিরের আমন্ত্রণে তারকাদের মিলনমেলায় অংশ নেব। দুপুরে এফডিসি যাব। এর পর সন্ধ্যায় বাসায় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। তারকা হওয়ার আগে বৈশাখ খুব একটা উপভোগ করতে পারতাম না। এর কারণ, পয়লা বৈশাখ আসার আগে আমার পরীক্ষা থাকত। পড়াশোনার চিন্তায় বৈশাখ উদযাপন মাথায় আর থাকত না। আব্বু সরকারি চাকরি করতেন। তাঁদের অফিশিয়াল আয়োজনে ছোটবেলায় অংশ নিতাম। অনেক মজা হতো। কিন্তু আমার মনে হয়, বৈশাখটাকে এখন বেশি উপভোগ করি। আমার মেয়ে সায়রাকে ছোটবেলা থেকেই বাংলা সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে রাখতে চাই। আমি সায়রার জন্য লাল শাড়ি, চুড়ি আর টিপ কিনেছি। বৈশাখে আমাদের দুজনের সাজ একই রকম হবে।
মুনমুন
অভিনেত্রী ও মডেল
বৈশাখ উপলক্ষে লাল-সাদা-কালোর মিলনে একটি শাড়ি কিনেছি। সকালে সে শাড়িটা পরে টিভিতে লাইভ কনসার্টের উপস্থাপনা করব। তবে বছরের শুরুতে ভালো কিছু করতে চাই। তারকা হওয়ার আগেও পয়লা বৈশাখে আমি অনেক ব্যস্ত থাকতাম। স্কুল-কলেজে আমার অংশগ্রহণ, উপস্থাপনা, নাচ ও গানের অনুষ্ঠান থাকত। তারকা হওয়ার পর একটু পরিবর্তন এসেছে। এখন ই-মেইলে ভক্তদের অনেক শুভেচ্ছা পাই। তাঁদের শুভেচ্ছাবার্তাগুলো পড়তে অনেক ভালো লাগে।