ঈদের তিন ছবিতেই আছেন চিকন আলী
ঢাকাই চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় কমেডিয়ান টেলি সামাদ, দিলদার, কাবিলার নাম উল্লেখযোগ্য। তাঁদের পর ঢালিউডে কমেডিয়ান হিসেবে এরই মধ্যে বেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন চিকন আলী। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনার ১৫৬টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া তিনটি ছবিতেই অভিনয় করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের দুটি ছবি- রাজু চৌধুরী পরিচালিত ‘শ্যুটার ও শামিম আহম্মেদ রনি পরিচালিত ‘বসগিরি’, আরেকটি ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘রক্ত’। এই তিন ছবিতেই কমেডিয়ান হিসেবে অভিনয় করেছেন চিকন আলী। তিন ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে চারটি চরিত্রে।
‘শ্যুটার’ ছবি নিয়ে চিকন আলী বলেন, ‘এই ছবিতে আমি শাকিব খানের পিএসের মতো, সব সময় সঙ্গে থাকি। তিনি সিরিয়াল কিলার। আমরা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করি, আমার চরিত্রটা কমেডি। ছবিতে আমার নাম থাকে বার্গার আলী। মানুষ তিনবেলা তিনমুঠো ভাত খায়, আর আমি বার্গার খাই। এই ছবিটি করে আমার ভালো লেগেছে, কারণ কমেডি করার জায়গা ছিল। অনেক ছবি করেছি কিন্তু অভিনয় দেখানোর সুযোগ কম ছবিতেই পেয়েছি। আমিও সুযোগটা কাজে লাগাতে চেয়েছি। আমি আমার সেরাটা দিতে চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শক হলে গিয়ে দেখতে পাবে।’
‘বসগিরি’ প্রসঙ্গে চিকন আলী বলেন, ‘এই ছবিতে দর্শক আমাকে দুটি চরিত্রে দেখতে পাবে। মুম্বাইয়ের সুপারস্টার আমির খান অভিনীত ‘পিকে’ ছবির গেটআপটা আমি নিয়েছি। সেই ছবিতে আমির খানের মতোই মাথায় হেলমেট, পান খাওয়া, চলাফেরা থাকবে। অরেকটি চরিত্রের নাম ভরাট বাবু। আমি বিশ্বের সমস্ত সাগর, মহাসাগর ভরাট করি। আশপাশের সব সাগর ভরাট করা শেষ, এখন আমি প্রশান্ত মহাসাগর ভরাট করব। এমন একটি চরিত্র। এই ছবিতেও আমার বস থাকেন শাকিব খান। এই ছবিতে আমি রাজশাহীর আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলেছি।’
‘রক্ত’ ছবি নিয়ে চিকন আলী বলেন, ‘এই ছবিতে আমি পুলিশের হাবিলদার চরিত্রে অভিনয় করেছি। আমি আর কাবিলা ভাই একসঙ্গে কাজ করেছি। এখানে দেখা যায়, ছবির নায়ক রোশন জেল থেকে ছাড়া পেয়েও বাইরে বেরুতে চায় না। আমি জোর করে তাকে বের করার চেষ্টা করি। এ নিয়ে কাবিলা ভাইয়ের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এই তিনটি ছবিতে আমি চারটি চরিত্রে কাজ করেছি।’
এবারের ঈদে তিনটি মিলে মোট ১৫৬টি ছবি মুক্তি পেয়েছে চিকন আলীর, আরো কয়েকটি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।