সালমান এবং হত্যা মামলার ১২ বছর
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৫ সালের ৬ মে। গাড়িচাপায় হত্যা করার মামলা গড়িয়েছে এক যুগ। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সালমান খান। এই বিশাল সময় ধরে চলতে থাকা এই মামলা, সময়ে সময়ে নিয়েছে নাটকীয় মোড়। এনডিটিভির অনলাইন থেকে এখানে দেওয়া হলো সালমানের মামলার গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলো।
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০২
সালমান খানের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার রাস্তার পাশের একটি বেকারি দোকান পুরো দুমড়ে দেয়। বেকারির পাশে ঘুমিয়ে থাকা চারজন ছিন্নমূল মানুষ এ সময় গুরুতর আহত হন, এদের একজন পরে মারা যান।
৭ অক্টোবর, ২০০২
বান্দ্রা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সালমান খান। তাঁকে মোটর ভেহিকেল অ্যান্ড বম্বে প্রহিবিশন অ্যাক্টের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
২১ অক্টোবর, ২০০২
বান্দ্রার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চার্জশিট দাখিল করা হয়। দণ্ডবিধির ৩০৪-২ ধারায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, যার সাজা হতে পারে সর্বোচ্চ ১০ বছরের হাজতবাস।
২৪ অক্টোবর, ২০০২
মুম্বাইয়ের আদালত থেকে জামিন পান সালমান।
মে, ২০০৩
অভিযোগের বিরুদ্ধে সালমানের আপিল প্রত্যাখ্যান করেন আদালত। ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্টকে অভিযোগ আরোপের নির্দেশ দেওয়া হয়।
জুন, ২০০৩
বোম্বের উচ্চ আদালতে আপিল করেন সালমান খান। এখানে এ বিষয়ে নির্ধারিত হয় যে হত্যা মামলা হলেও সালমান ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করেননি।
অক্টোবর, ২০০৩
বোম্বের হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অক্টোবর, ২০০৬
বান্দ্রা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কোর্ট সালমানের বিরুদ্ধে চার্জ আরোপ করেন।
২২ মে, ২০০৭
একটি রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্টের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে দুর্ঘটনার সময় সালমান খান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
৩ অক্টোবর, ২০০৭
যক্ষায় আক্রান্ত হয়ে এই মামলার অন্যতম সাক্ষী রবীন্দ্র পাতিলের মৃত্যু হয়।
মার্চ, ২০১১
রাষ্ট্রপক্ষ সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা আরো বাড়ানোর আবেদন করে। হত্যার সাথে যোগ হয় বেপরোয়া এবং দায়িত্বহীন গাড়িচালনার অভিযোগ।
ডিসেম্বর, ২০১২
বান্দ্রার ম্যাজিস্টেট্র কোর্ট সালমানের ‘অনিচ্ছাকৃত হত্যাকাণ্ড’ বিষয়ে সম্মত হন।
১ মার্চ, ২০১৩
নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন সালমান।
২৩ জুলাই, ২০১৩
মুম্বাইয়ের সেশন কোর্ট সালমানের বিরুদ্ধে ‘অনিচ্ছাকৃত হত্যা’র অভিযোগ আরোপ করেন।
ডিসেম্বর, ২০১৩
সমস্ত অভিযোগকে নতুন করে পর্যবেক্ষণ ও যাচাই করার আদেশ দেন মুম্বাইয়ের সেশন কোর্ট।
এপ্রিল, ২০১৪
নতুন দফার বিচারে আদালতে আবির্ভূত হন প্রথম সাক্ষী সাম্বা গওড়া।
২৪ জুন, ২০১৪
তিনজন ভিকটিম সালমানকে কোর্টে শনাক্ত করেন। একজন বলেন যে তিনি ড্রাইভারের আসনের পাশ দিয়ে সালমানকে বেরোতে দেখেছেন।
জুলাই, ২০১৪
বান্দ্রা পুলিশ স্টেশন থেকে ৬৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যসমেত এই মামলার ফাইল একদম হাওয়া হয়ে যায়! আদালত বিষয়টি অনুসন্ধানের মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
৩ ডিসেম্বর, ২০১৪
রাসায়নিক বিশ্লেষক বালা শংকর আদালতকে জানান যে সালমানের রক্তের নমুনায় অ্যালকোহল রয়েছে।
২৭ মার্চ, ২০১৫
সালমান খান আদালতকে জানান, তিনি নন- ড্রাইভারের আসনে ছিলেন তার ড্রাইভার অশোক সিং।
৩০ মার্চ, ২০১৫
সালমান খানের ড্রাইভার অশোক সিং জানান যে সালমান নন, বরং তিনি নিজেই সে মুহূর্তে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
৭ এপ্রিল, ২০১৫
রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী প্রদীপ ঘরত সালমানের ড্রাইভারকে মিথ্যাবাদী হিসেবে মন্তব্য করেন এবং মামলার শুনানি শেষ করে দেন।
২০ এপ্রিল, ২০১৫
বিবাদীপক্ষের তরফ থেকেও শুনানি শেষ করা হয়।
২০ এপ্রিল, ২০১৫
মুম্বাইয়ের অ্যাডিশনাল সেশন জজ ডি ডব্লিউ দেশপাণ্ডে চূড়ান্ত দিন হিসেবে ৬ মে ঠিক করেন।
৬ মে, ২০১৫
সালমানের বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের সবকটিই প্রমাণিত হয়। আদালতের রায়ে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।