চেহারার মিল নয়, চরিত্র হয়ে উঠতে প্রয়োজন অনেক কিছু : চঞ্চল
উপমহাদেশের বিখ্যাত পরিচালক মৃণাল সেনের জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার (১৪ মে)। সেই উপলক্ষে কলকাতার নন্দনে প্রকাশ্যে এল সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’-এর টিজার। আর প্রয়াত পরিচালকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সিনেমার ঘোষণাপর্ব থেকে যে সফর শুরু হয়েছে, তা এক প্রকার পূর্ণতা পেল মঙ্গলবার।
মঙ্গলবার নন্দনে উপস্থিত ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। তার পরনে ছিল সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি। এদিন এক ফাঁকে চঞ্চল কথা বললেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।
নন্দনে বড় পর্দায় নিজেকে মৃণাল সেনের চরিত্রে দেখে কী মনে হল চঞ্চলের? অভিনেতা বললেন, ‘স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। কাজটা যখন শুরু করি, তখন মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করছিল। কিন্তু ডাবিং করা পর্যন্ত টেনশনে ছিলাম।’
চঞ্চল জানালেন, লুকসেটের ছবি দেখে প্রথমে তাঁর একটু মনের জোর বাড়ে। কিন্তু তার পরেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, মৃণাল সেনকে নিজের মধ্যে ধারণ করা। চঞ্চল বললেন, ‘এত বড় একজন ব্যক্তিত্ব! পরিচালনা ছাড়াও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন এবং রাজনৈতিক সত্তাকে ধারণ করতে না পারলে তো চরিত্রটাই অপূর্ণ রয়ে যাবে!’
পর্দায় মৃণাল হয়ে উঠতে তাই নিজের মতো প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেন চঞ্চল। কারণ তাঁর কথায়, ‘শুধু চেহারার মিল থাকলেই হয় না। আরও অনেক কিছু লাগে।’ জানালেন, নতুন করে মৃণাল সেনের ছবিও তিনি দেখেছিলেন।
চঞ্চল বললেন, ‘কলেজ জীবনে ওঁনার সিনেমা দেখেছি দর্শক হিসেবে। কিন্তু ওঁনার চরিত্রে অভিনয় করব বলে যখন সিনেমাগুলো আবার দেখলাম, তখন মানুষটাকে নতুনভাবে চিনতে পারলাম।’
কোনোদিন স্বপ্নেও ভাবেননি, মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করবেন। পুরো ভাবনা এবং তা বাস্তবায়নের কৃতিত্ব কিন্তু চঞ্চল সৃজিতের ঝুলিতেই তুলে দিতে চাইলেন। চঞ্চল বললেন, ‘কারণ, সে সময় আমি বাবাকে হারাই। অভিনয় করার মতো মানসিক অবস্থাই ছিল না। সৃজিত দা সাহায্য না করলে কাজটা করতে পারতাম না।’
পদাতিক’-এর টিজারটি দেখেতে এখানে ক্লিক করুন।