রেশন দুর্নীতির মামলায় ঋতুপর্ণাকে ইডির তলব
রেশন দুর্নীতির মামলায় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০১৯ সালে অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক নয়ছয়ের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের প্রায় পাঁচ বছর পরে আবার অন্য মামলায় ইডি তলব করল তাঁকে। বৃহস্পতিবার ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ জুন তাঁকে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের প্রতিবেদন এই তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে ইডির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ঋতুপর্ণা বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন। বুধবার ই-মেইলে তাঁকে তলব করা হয়েছে। কেন এই তলব? ওই সূত্রের দাবি, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে টলিউড অভিনেত্রীর প্রায় এক কোটি টাকা নগদ লেনদেনের হদিস মিলেছে তদন্তে। তার কারণ এবং সেই অর্থের ‘গন্তব্য’ জানতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে ইডির নোটিসের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ঋতুপর্ণার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানসহ শাসকদলের কয়েক জন নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা গ্রেফতার হয়েছেন। তবে এবার হঠাৎ ঋতুপর্ণার নাম আসা নিসন্দেহেই বড় চমক। রেশন দুর্নীতির তদন্তেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকেরা।
এর আগে ২০১৯ সালে রোজভ্যালি কাণ্ডে শুধু ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত নন, ডাক পড়েছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়েরও। রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু একসময় বেশ কিছু বাংলা সিনেমার প্রযোজনা করেছিলেন। তাতে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা, প্রসেনজিৎসহ একাধিক শিল্পী। আর সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের খোঁজ নিতেই তিনি গিয়েছিলেন ইডি অফিসে। এখানেই শেষ নয়, অভিনেত্রীর সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল রোজভ্যালি গোষ্ঠীর। সে সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন নিয়ে পাঁচ বছর আগেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে তাঁর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইডি। এটা হবে তাঁর দ্বিতীয়বার।
পরবর্তী সময়ে টলিউড অভিনেত্রীর সংস্থার সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছিল রোজভ্যালি গোষ্ঠীর। গৌতমের সংস্থার প্রযোজনায় কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন ঋতুপর্ণা। সে সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেন নিয়ে পাঁচ বছর আগেই সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করে তাঁর থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইডি।