বাংলাদেশি পরিচালকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন ঋতুপর্ণা
পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে বাংলাদেশের সিনেমা ‘তরী’ সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে সেখানকার আরেক অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রকে চুক্তিবদ্ধ করেছেন সিনেমাটির পরিচালক রাশিদ পলাশ।
দেশের একাধিক গণমাধ্যমকে খবর এসেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও চিত্রনায়ক ফেরদৌসের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বাদ পড়েছেন ঋতুপর্ণা। আর এমন খবরে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ঋতুপর্ণা।
টিভি নাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতু বলেছেন, ‘এই ছবির জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে আমি কিছুই ফাইনাল করিনি। চিত্রনাট্যে বেশ কিছু পরিবর্তন চেয়েছিলাম। নির্মাতা সেটা করে আমাকে পাণ্ডুলিপি পাঠাবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে সেটা পাঠাননি, আমিও যোগাযোগ করিনি। আমার সঙ্গে যখন কোনো চুক্তিই হলো না, তখন আমি বাদ পড়লাম—এমন খবর কেন প্রকাশ করা হচ্ছে?’
ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘খুব বিশ্বাসযোগ্য এক সূত্র থেকে ছবিটির প্রস্তাব পেয়েছিলাম। পরিচালক রাশিদ পলাশও যোগাযোগ করেছিলেন। তাই সায় দিয়ে পাণ্ডুলিপি চেয়েছিলাম। সেটা পড়ার পর মনে হয়েছে, আমার করার মতো কিছু নেই এখানে। তখন চিত্রনাট্য পরিবর্তন করতে বলি। অথচ যা যা গল্প বানানো হচ্ছে, সেগুলো সব অজানা। এমন করে অভিনেতাদের নিয়ে পাবলিসিটি করার বিষয়টা আপত্তিকর। যথাযথ নিরাপত্তা না থাকার কারণে আমাকে নিয়ে শুটিং করতে পারবে না সেটা আলাদা বিষয়। তবে নির্মাতা যেভাবে বিষয়টা সামনে এনেছেন তা একদম সঠিক নয়।’
ঋতুপর্ণার এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে পরিচালক রাশিদ পলাশ এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, ফেরদৌসের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সিনেমা থেকে ঋতুপর্ণা বাদ পড়েছেন এমন কোন তথ্য আমরা কখনও বলিনি। নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা অভিনেত্রী পরিবর্তন করেছি।
আহাদুর রহমানের গল্পে ‘তরী’ সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন গোলাম রাব্বানী।সিনেমাতে আরও অভিনয় করছেন তুষার খান, সুমন আনোয়ার, রেহনুমা। শুটিং-ডাবিং শেষ করে ২০২৫ সালেই সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে নির্মাতার।