‘তুফানে’ আলোচিত, ‘তাণ্ডবে’ও থাকছেন শিহাব নূরুন নবী

শাকিব খানের ‘তুফান’ সিনেমায় নব্বইয়ের দশকের ঢাকার প্রেক্ষাপট নিয়ে কাজ করে আলোচিত হয়েছেন শিল্পনির্দেশক শিহাব নূরুন নবী। তাঁকে ফের দেখা যাবে ঢালিউড খানের পরবর্তী সিনেমা ‘তাণ্ডবে’ও। বর্তমানে এই সিনেমার কাজ নিয়েই ব্যস্ত আছেন ঢাকার শোবিজের আলোচিত এই শিল্পনির্দেশক।
শিহাব নূরুন নবী বলছিলেন তাঁর ক্যারিয়ারে তেমন সংগ্রাম না থাকলেও শুরুর সময়টা খুব সহজ ছিল না। সেই শুরুর গল্পটা শুনতে চাইলে শিহাব যেমনটা শুনিয়েছেন সেটা এমন, ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। সেই কাজের সূত্রে গাও প্রোডাকশনসের মামুন নামের এক বড় ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। তিনিই প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্রে শিল্পনির্দেশনার প্রস্তাব দেন; আর সেই থেকে এই পেশায় যাত্রা শুরু করেন।
প্রথম কাজ প্রসঙ্গে শিহাব নূরুন নবীর ভাষ্য, ‘চারুকলায় স্নাতক করেছি, ইন্টেরিয়রের কাজ করতাম, সেকারণে অনেক কিছুই আমার জানা ছিল। প্রথম কাজে বিজ্ঞাপনের জন্য সেবার একটি ব্যাংকের ফ্রন্ট ডেস্ক বানিয়েছিলাম। আমার কাজে সবাই বেশ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন।’

এরপর আর পিছনে ফিরতে হয়নি শিহাব নূরুন নবীকে। প্রথম কাজ দিয়েই গাও প্রোডাকশনসেই যুক্ত হয়ে যান, সেখানেই কাজ করেন বছর দুই। এরপর কাজের পরিধি আরও বাড়ে; বিজ্ঞাপনশিল্পের পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা, আদনান আল রাজীব, মেজবাউর রহমান সুমনসহ প্রথম সারির নির্মাতাদের সঙ্গে শুরু হয় কাজ। তারপর প্রায় এক হাজার বিজ্ঞাপনচিত্রে শিল্পনির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। আস্তে আস্তে সিনেমা, ওটিটি, নাটক থেকেও ডাক আসতে থাকে।
সিনেমাকে আরও দর্শনপ্রিয় করে তোলার কারিগর আর্ট ডিরেক্টর; তাঁদের নিপুণতায় তৈরি হয় সেট ডিজাইন। আপনি যদি ‘নোনা জলের কাব্য’, ‘শনিবার বিকেল’, ‘রিকশা গার্ল’, ‘তুফান’, ‘ফাতিমা’, ‘মহানগর ২’, ‘কালপুরুষ’ ‘ব্ল্যাক মানি’ বা ‘চক্কর’ এর কোন একটা ফিকশন দেখে থাকেন তবে আপনার জেনে রাখা উচিত; এই ফিকশন গুলোর আর্ট ডিরেক্টর বা শিল্পনির্দেশক শিহাব নূরুন নবী।
কোক স্টুডিও বাংলার শিল্পনির্দেশনায়ও কাজ করেছেন এরইমধ্যে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও; সেটা ২০২১ সালে ‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমার জন্য।

শিহাব বলছিলেন, ‘শুরুর দিকে রাতের পর রাত জেগেছি; ক্যামেরায় কোন রং কেমন দেখাব, কোন সেট কী দিয়ে বানাব এসব নিয়ে প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়েছে।’
নিজের সবচেয়ে পছন্দের কাজ প্রসঙ্গে শিহাব জানালেন, কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের ‘অবাক ভালোবাসা’ গানের শিল্পনির্দেশনা দেওয়াকে।