একজিমা ছোঁয়াচে নয়, একজিমা থেকে মুক্তির উপায়
অনেকে এলার্জি, একজিমাসহ নানা চর্মরোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে একজিমা থেকে মুক্তির উপায় জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এলার্জি, একজিমা ও এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
যাদের একজিমা রয়েছে, সেটা শীতকাল বা গরমকাল, যে কোনও সময়ে ভুগছে। একজিমা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ত্বকের যত্ন কতটুকু দরকার। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, একজিমা কিউরেবল ডিজিজ না। এটা আমরা একদম ভালো করতে পারি না। তবে মেইনটেইন করতে হবে। একজিমা তার কীসে হচ্ছে, কারণটা বের করতে হবে। কোনও খাবার থেকে হচ্ছে কি না বা কোনও কসমেটিকস থেকে হচ্ছে কি না, ধুলাবালি থেকে হচ্ছে কি না; কারণটা বের করে সেই কারণকে অ্যাভয়েড করতে হবে। বা ঠাণ্ডা থেকে হচ্ছে কি না, সে ঠাণ্ডা থেকে দূরে থাকবে। যদি হয়েই যায়, ট্রিটমেন্ট করতে হবে। তাকে মেইনটেইন করতে হবে যেটা, ময়েশ্চারাইজ করতে হবে। একজিমার কারণ বের করে তাকে সেভাবে চলতে হবে।
একজিমার ব্যাপারে অনেকের কিছু ধারণা রয়েছে, যেটাকে কুসংস্কার বলা যায় যে এটি এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ। উত্তরে অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, না। অনেকে স্কিনে কিছু হলে বলে এটা ছোঁয়াচে। অথবা একজিমা ছোঁয়াচে। কিন্তু স্কিনে কিছু হলে সেটা এলার্জিও না, একজিমাও না। একজিমা থাকতে পারে, একজিমার কারণ থাকতে পারে। কিন্তু ছোঁয়াচে না। কিছু কিছু একজিমা আছে রক্তের সম্পর্ক থেকে, বাবা-মায়ের আছে, এ জন্য বাচ্চার হয়েছে। মানুষের সাথে মানুষের মেলামেশার ফলে যে রোগটা হয়, সেটা হলো স্ক্যাভিজ। অথবা এখন যেটা প্যান্ডামিক আকারে দেখা দিয়েছে, সেটা হলো ফাঙ্গাল ডিজিজ। এটা কিন্তু কিছুটা ছোঁয়াচে। একই টাওয়েল, একই ন্যাপকিন ব্যবহার করলে স্ক্যাভিজ হতে পারে। কিন্তু একজিমা কখনওই ছোঁয়াচে না।
একজিমা ও সোরিয়াসিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।