কণ্ঠনালীর ক্যানসার কী, কাদের বেশি হয়
অনেকে কণ্ঠনালীর ক্যানসারে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে কণ্ঠনালীর ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে কণ্ঠনালীর ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হসপিটালে ক্যানসার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লুবনা মরিয়ম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
কণ্ঠনালীর ক্যানসার কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. লুবনা মরিয়ম বলেন, কণ্ঠনালী হচ্ছে আমরা যে কথা বলছি, স্বর বের হচ্ছে, স্বরযন্ত্র অথবা এটাকে আমরা বলি ম্যাজিক বক্স বা ভোকাল বক্স। এটা আমাদের গলার মাঝখানে থাকে। এটা যদি নষ্ট হয়ে যায় বা কোনও কারণে ইনজুরি হয়, কোনও ইনফেকশন হয়, তখনই আমাদের কণ্ঠস্বর নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় আমরা কথা বলতে পারছি না। কণ্ঠনালীর তিনটি অংশ আছে, তিনটি অংশেই ক্যানসার হতে পারে।
বয়স বা লিঙ্গভেদে কি কণ্ঠনালীর ক্যানসার হয়, কাদের বেশি হয়, কোন বয়সে বেশি হয়; সঞ্চালকের এসব প্রশ্নের জবাবে ডা. লুবনা মরিয়ম বলেন, সাধারণত এটা মধ্যবয়সি বা চল্লিশোর্ধ্ব যারা আছে, তাদের এ ক্যানসার হতে পারে। মেয়েদের তুলনায় পুরুষের এ ক্যানসার বেশি হয়ে থাকে।
ডা. লুবনা মরিয়ম আরও বলেন, যখন ক্যানসারটা অনেক বেশি অ্যাডভান্স হয়ে যায়, কারণ হচ্ছে, ল্যারিন্সের সামনে থাকে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড। যখন অ্যাডভান্স হয়ে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড পর্যন্ত ইনভেশন করে ফেলে বা ঢুকে যায় ক্যানসারটা, তখন এ জায়গাটা ফুলে যায় বা ব্যথা হয়। তবে তার আগে রোগীরা আমাদের কাছে চলে আসে। কারণ, ওই যে পরিবর্তন হচ্ছে গলার স্বর। রোগীরা এসব নিয়ে বসে থাকে না। চলে আসে।
কণ্ঠনালীর ক্যানসার কী, এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।