কীভাবে ব্রণের চিকিৎসা করা হয়?
ব্রণ খুব জটিল হয়ে গেলে চিকিৎসা জরুরি। ব্রণের চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে কথা বলেছেন, ডা. রেজা বিন জায়েদ।
ডা. রেজা বিন জায়েদ বর্তমানে ঢাকার পান্থপথে অবস্থিত স্কিন স্কয়ারের চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬৬৬তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : আপনাদের চিকিৎসা তাহলে কী?
উত্তর : এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যার আধিক্য বেশি থাকে। আমরা যদি দেখি ব্যাকটেরিয়াগুলো রয়েছে, তখন আমরা অ্যান্টিবায়োটিক দেই। আমরা ব্রণকে দুই ভাগে ভাগ করি। একটি হলো, ব্রণ পেকে গেছে, লাল হয়ে রয়েছে, ব্যথা রয়েছে— এ ধরনের। সে ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করি, অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করার জন্য।
আর যেগুলো পাকেনি অথচ শক্ত দানার মতো, একে সাধারণ ভাষায় ব্লেক হেডস বলে। এর জন্য ভিন্ন চিকিৎসা। এখানে অ্যান্টিবায়োটিক না দিয়ে অন্য যেসব চিকিৎসায় ব্লেক হেড সেরে যায় সেগুলো দিতে হবে। সাধারণত ত্বকে লাগানোর ওষুধ দিতে হয়। এগুলো দিয়ে ব্ল্যাক হেডসগুলো আগে সরানোর চেষ্টা করি। তখন দেখা যায়, ব্রণ নিজে থেকে ভালো হয়। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা লোকাল অর্থাৎ লাগানোর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকি। সিলিন্ডামাইসিন জাতীয় ওষুধ। এরোথ্রিমাইসিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক আমরা ব্যবহার করে থাকি।
প্রশ্ন : কতদিন পর্যন্ত চলে?
উত্তর : ধৈর্য হারালে চলবে না। আজকে দিয়ে দিলাম, আজকে কাজ শুরু হয়ে গেল তাও নয়। এটা ধীরে ধীরে কাজ করে। চিকিৎসার সময় হলো, তিন থেকে চার মাস। ধৈর্য থাকলে ব্রণ ১০০ ভাগ চিকিৎসাযোগ্য। যেসব অ্যান্টিবায়োটিক মুখে খেতে হয়। এটি তিন থেকে চার মাস চালাতে হয়। রোগী প্রশ্ন করে, এত দিন অ্যান্টিবায়োটিক খাব, কেমন হবে? অ্যান্টিবায়োটিকে আমরা ডোজ এমনভাবে দেই, যেন শরীরে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না করতে পারে।