জরায়ুমুখের ক্যানসারে কী কী কারণ দায়ী
অনেক নারীই জরায়ুমুখের ক্যানসারে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হসপিটালে ক্যানসার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লুবনা মরিয়ম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
জরায়ুমুখের ক্যানসারে কী কী কারণ দায়ী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. লুবনা মরিয়ম বলেন, জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার একটা প্রধান কারণ একটা ভাইরাস। অনেক ক্যানসারের কারণ আমরা জানতে পারি না। আমরা সৌভাগ্যবান যে জরায়ুমুখের ক্যানসার, সারভাইক্যাল ক্যানসার যেটা বলি, ওটার কারণ আমরা জানি। হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস নামে একটা ভাইরাস আছে, যেটা প্রধানত এর জন্য দায়ী। ভাইরাসটা মানুষের শরীরে থাকেই। কেন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে, তার কিন্তু রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। যেসব মেয়ের অল্প বয়সে বিয়ে হয়, ঘন ঘন বাচ্চা হয়, তখন তাদের জরায়ুমুখের মধ্যে একটা ইনজুরি হচ্ছে। যত বেশি ইন্টারকোর্স বা স্বামীর সাথে মেলামেশা হচ্ছে, তখন একটা ক্ষত তৈরি হচ্ছে। আবার বাচ্চা হওয়ার সময় তার জরায়ুর মুখে একটা ক্ষত তৈরি হচ্ছে। যত বেশি ক্ষত তৈরি হবে, ততই ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
ডা. লুবনা মরিয়ম আরও বলেন, স্বামীর যদি একাধিক সেক্স পার্টনার থাকে, এটাও কিন্তু ওই মহিলার জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর। ভাইরাসের তখন ট্রান্সমিট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। অথবা মেয়েটারও যদি একাধিক সেক্স পার্টনার থাকে, তাহলেও একই হবে। এ ছাড়াও বলা হচ্ছে ধূমপান। ধূমপানকে আমরা শুধু মনে করি যে ফুসফুস ক্যানসার, মুখগহ্বরের ক্যানসার সেটা জন্য; আসলে রিসার্চ করে জরায়ুমুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে যে স্মোকিং ইমপরট্যান্ট ইস্যু। তা ছাড়া কম প্রোটিন খাওয়া, যাদের স্বাস্থ্য খারাপ, এ বিষয়গুলো রিস্ক ফ্যাক্টরের মধ্যে পড়ে।
জরায়ুমুখের ক্যানসার কী, এর লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।