বাইপোলার ডিজঅর্ডার হলে পরিবারের করণীয় কী
অনেকেই ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে বাইপোলার ডিজঅর্ডার হলে পরিবারের করণীয় সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে বাইপোলার ডিজঅর্ডার নিয়ে কথা বলেছেন নিউইয়র্কের অ্যাডাল্ট চাইল্ড সাইকিয়াট্রির কনসালটেন্ট ডা. নাসরিন কাদের। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
বাইপোলার ডিজঅর্ডার, এটি তো আসলে সবার থাকে না। কিংবা সবাই ডিপ্রেশনে ভোগেন না। কিংবা হুট করে কারও যদি বাইপোলার ডিজঅর্ডার হয় বা পরিবারের অন্যরা অনুধাবন করতে পারেন যে তাঁর ছেলে বা মেয়ে ডিপ্রেশনে রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাঁরা কী করবেন? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাসরিন কাদের বলেন, পরিবারের এখানে বিশাল একটা ভূমিকা রয়েছে। কারণ, যে নিজে ডিপ্রেশনের দিকে যাচ্ছে, সে কিন্তু কখনওই প্রকাশ করতে চাইবে না—আমি অসুস্থ, আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও... এগুলো কিন্তু বলবে না। তাই পরিবারের মা-বাবা, ভাইবোন, ছেলেমেয়ে যখন লক্ষণগুলো দেখবে, তখন ওদের চিন্তা করতে হবে যে আমার বাচ্চাটা বা আমার বউ অথবা আমার স্বামী একটু ভিন্ন রকম; এটা কিন্তু মা-বাবাও হতে পারে। মা আগে খুব স্বতঃস্ফূর্ত হাসিঠাট্টা করত, মা এখন বেশি কথা বলছে না। বাবাকে দেখতাম পেপার পড়ে, হেঁটে হেঁটে দোকানে যাচ্ছে, এখন উনি পেপারও পড়েন না। কোথাও যান না। এ জিনিসগুলো পরিবারের সদস্যদের লক্ষ করার পর আপনি তখন তার সাথে কথা বলুন।
ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে কি পারিবারিক কাউন্সেলিং জরুরি? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাসরিন কাদের বলেন, এই যে কথা বলাটা, এটাকে আমি কাউন্সেলিং বলছি না। কিন্তু পরিবারের সদস্য হিসেবে তো আমরা এই কথাটা জিজ্ঞেস করতেই পারি। ধরা যাক, ডক্টর স্বাক্ষর মনে করেন, আপনার মা... আপনার মা আপনাকে বলছে, তোকে কদিন ধরে দেখছি তুই খুব মনমরা হয়ে থাকছিস। রুম থেকে বের হোস না। তোর কি কিছু হয়েছে? আমাকে বলতে পারিস। আপনি যদি মনে করেন, আমি মাকে কথাটা বলতে পারি, তাহলে আপনি বলবেন, হ্যাঁ মা, তুমি ঠিকই ধরেছ।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।