ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ কী, সন্তানধারণে ভূমিকা
বিয়ের আগে বা পরে অনেক নারীর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ হয়ে থাকে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে নারীর বিভিন্ন রোগ ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন ল্যাবএইড হসপিটালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের অধ্যাপক ডা. বেগম হোসনে আরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. বেগম হোসনে আরা বলেন, ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ একটি কমন রোগ। এটি বিয়ের আগেও হতে পারে, বিয়ের পরেও হতে পারে। বিয়ের আগে আমরা এতটা মনে করি না কিছু। কারণ, অনেক সময় ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ ফিজিওলজিক্যাল কারণেও হয়। জাস্ট মাসিকের আগে-আগে, মাসিকের পরে; এ রকম হতে পারে।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. বেগম হোসনে আরা বলেন, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ... আজকাল দেখা যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে আসেই না। তার প্রেগন্যান্সিটা ডায়াগনজড হলো কি না হলো, এটাও সে বিচার করে না। সে কী করে, যে কোনও ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খায়। এটা করা উচিত নয়। কারণ, প্রেগন্যান্সি যদি টিউবে থাকে, তাহলে ওসব ওষুধে লাভ হবে না। বরং তার নানা রকম রোগ হবে।
ডা. বেগম হোসনে আরা বলেন, একটোপিক হলো ইউটেরাসে বাচ্চাটা থাকে না। ফার্টিলাইজড ওভামটা কী হয়, বাচ্চাটা টিউবে এসে বসে। হঠাৎ করে টিউবটা পাসড হয়ে যায়। পেশেন্ট অনেক সময় শকে চলে আসে এবং তার পালস-বিপি অনেক সময় ননরেকর্ডেবল হয়ে যায়। তখন আমাদের কাছে এলে সাথে সাথে ট্রিটমেন্ট দিতে হয়। যেমন ব্লাড ট্রান্সমিশন করতে হয়, অনেক সময় লেপারোস্কোপি করতে হয় অথবা লেপারটমি করে তাকে কারেকশন করতে হয়।
একটোপিক ও আনওয়ান্টেড প্রেগন্যান্সি কী এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।