সন্তানের মনে এত সন্দেহ কেন?
অনেকেই সিজোফ্রেনিয়া বা জটিল মানসিক রোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সিজোফ্রেনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে সিজোফ্রেনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
কীভাবে বুঝবেন কেউ সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত, প্রথমে তাঁরা কী করবেন, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, আমাদের বোঝাটা জরুরি। কারণ, রোগী সাধারণত বলে না সে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। আমরা বলি, তার ইনসাইট বা অন্তর্দৃষ্টি নেই বা বাস্তবতা বোধ নেই। তাকে কিন্তু অনেক কষ্ট করে নিয়ে যেতে হবে, বুঝিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাবা-মাকে বুঝতে হবে, যে ছেলে বা মেয়ে উচ্ছল ছিল, ঘরকুনো হয়ে গেছে, সে পর্দা টাঙিয়ে রাখে, দরজা খুলতে দেয় না, বাথরুমে গেলে অনেকক্ষণ বাথরুমে বসে থাকে, আয়নায় কী জানি দেখে, একা একা কথা বলতে থাকে আর কারও সাথে সে মিশতে চাচ্ছে না। আগে সে ডাইনিং টেবিলে বসে সবার সাথে মিশে হইহই করত, এখন আর ডাইনিং হলে আসতে চায় না। একা একটা জগৎ তৈরি করেছে।
অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সিজোফ্রেনিয়া বলতে আগে আমরা বলতাম—এখানে অটিজম বলে একটা শব্দ আছে, মানে সেও নিজের একটা পৃথিবী তৈরি করে। এটা যদি কোনও বাবা-মা দেখে, তাহলে কিন্তু বুঝতে হবে তার বাচ্চার মধ্যে কিছু অসুবিধা হচ্ছে। তাহলে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। তাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে। আর বড় করে যদি বলি, বাচ্চাটা সন্দেহ করা শুরু করে। অন্যরা তাকে ফলো করছে, ক্যামেরা দিয়ে তাকে দেখছে, তাকে মনিটর করে, তাকে কন্ট্রোল করে বাইরে থেকে... ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেবে।
সিজোফ্রেনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।