সাবান কি এলার্জি প্রতিরোধ করে
অনেকে এলার্জি, একজিমাসহ নানা চর্মরোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এলার্জি প্রতিরোধে সাবান সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এলার্জি প্রতিরোধে সাবান সম্পর্কে বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
যাদের এলার্জি প্রবলেম রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কি নরমাল সোপ বা লিকুইড সোপের পরিবর্তে মেডিকেটেড কোনও সোপ সাজেস্ট করেন কি না, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, হ্যাঁ, আমরা সাজেস্ট করি। গ্লিসারিনযুক্ত যে সোপগুলো আছে, বডিওয়াশ আছে, আমরা এগুলো বলি বা সিরামাইডযুক্ত যে সাবান, বডি ওয়াশ বা লোশন পাওয়া যায়, সেগুলো ব্যবহার করতে বলি। তো বাচ্চাকে অল্প সময়ে গোসল করিয়ে ভালোভাবে মুছিয়ে কিন্তু বাচ্চাকে লোশন দিতে হবে গায়ে। লোশন দিয়ে তাকে ফুল স্লিভ ড্রেস পরতে হবে। এটা হলো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে। বড়দের বেলায়... বড়রা সাধারণত গোসল করে, বডিতে লোশন দেওয়ার দরকার নেই এবং বড় বা বাচ্চাদের অলিভ অয়েল মেখে গোসল করতে গেলে তার স্কিন থেকে তেল কম বের হয়ে যাবে। তার স্কিন খুব সহজে হাইড্রেটেড থাকবে বা অলিভ অয়েল মেখে বা নারকেল তেল মেখেও গোসল করতে পারে। যাদের স্কিন অনেক বেশি ড্রাই, তারাঁও কিন্তু এলার্জিতে অনেক বেশি ভোগেন।
শীতকালে দেখা যায় ইচিংয়ের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যায়, এ সম্পর্কে অধ্যাপক ডা. মাসুদা খাতুন বলেন, বেড়ে যাওয়ার একটা কারণ হচ্ছে ড্রাই স্কিন। ড্রাইনেসের জন্য স্কিন চুলকায়। এই ইচিংয়ের জন্য ময়েশ্চারাইজ করতে হবে দু-তিন বার। গোসলের পরে এক বার, রাতে এক বার, পারলে যদি আরেক বার করতে পারে, সেটাও ভালো। একমাত্র ময়েশ্চারাইজিং এই ড্রাই স্কিনটাকে প্রিভেন্ট করতে পারে। আর একটা হচ্ছে যাদের সারা বছরই অল্পস্বল্প থাকে, শীতকাল এলে বেড়ে যায়।
এলার্জি প্রতিরোধে সাবান বা এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।