সিজোফ্রেনিয়া কেন হয়, এ রোগ কি জেনেটিক?
অনেকেই সিজোফ্রেনিয়া বা জটিল মানসিক রোগে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সিজোফ্রেনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে সিজোফ্রেনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সিজোফ্রেনিয়া একটি মেডিকেল টার্ম। সিজোফ্রেনিয়া বলতে কী বোঝায়। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সিজোফ্রেনিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি সম্পর্কে জানলে মনোবিদ্যার চার ভাগের এক ভাগা জানা হয়ে যায়। বিষয়টি যদি সামাজিকভাবে দেখি, তাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ জনের মধ্যে একজনের সিজোফ্রেনিয়া থাকতে পারে। সিজোফ্রেনিয়া সবচেয়ে ক্রনিক একটি রোগ, জটিল একটি রোগ। পৃথিবীতে দুই কোটির বেশি মানুষ সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যদি বলি, তাহলে ০.৬ ভাগ শতাংশ, মানে এক হাজার জনের মধ্যে ছয় জন সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে। সুতরাং বিশাল জনসংখ্যা এটার জন্য সাফার করছে। সিজোফ্রেনিয়া যেহেতু জটিল ও কঠিন, রিকভারি রেট ওই রকম বেশি নয়। সুতরাং চাপটা বেশি এবং সাইকিয়াট্রির প্র্যাকটিসের কথা যেটা বললাম, চার ভাগের এক ভাগ সিজোফ্রেনিয়ার রোগী।
অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সিজোফ্রেনিয়া বা স্কিজোফ্রেনিয়া শব্দটাকে যদি আমরা ভাঙি—স্কিজ ও ফ্রেনিয়া—এভাবে ভাঙলে খুব সহজ হয়ে যাবে। স্প্লিট মাইন্ড, মনটা ভেঙে যায়। আমরা বলি, মন হলো মানুষের চালিকাশক্তি। চলন, বলন, কথন, আবেগ, অনুভূতি—যা কিছু সব মন থেকে হয়। সেই মনটাই ভেঙে যাচ্ছে এখানে। মানে তার চিন্তাশক্তি ভেঙে যাচ্ছে। তার আবেগ-অনুভূতি ভেঙে যাচ্ছে। তার অনুভূতিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তার অ্যাকশন, মোটিভেশন সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং সিজোফ্রেনিয়া এমন একটি রোগ যেখানে সবকিছুতে অ্যাফেক্ট পড়ছে। তার কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটছে, আগে হয়তো সে অনেক কিছুই করত, এখন করতে পারছে না।
সিজোফ্রেনিয়ার কারণ কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কারণ, সেটা জেনেটিক। যেখানে আপনি যাবেন না কেন, আপনার জন্ম সাথে যাবে। আমরা অনেকে এটা অস্বীকার করতে চাই, এটা বোকামি। জেনেটিক ফ্যাক্টর গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনও ফ্যামিলিতে বাবা বা মায়ের মধ্যে একজনের সিজোফ্রেনিয়া থাকে, তাহলে সন্তানের হওয়ার চান্স ১২ ভাগ।
সিজোফ্রেনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।