জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণ, লক্ষণ
নারীদের ক্যানসারের মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার এখন দ্বিতীয়। জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণ ও লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৮৭তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন।
অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন বর্তমানে স্কয়ার হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : জরায়ুমুখের ক্যানসার বলতে আসলে কী বোঝানো হয়?
উত্তর : সার্ভাইক্যাল ক্যানসার হলো জরায়ুমুখের ক্যানসার। নারীদের জরায়ুমুখের মধ্যে যে ক্যানসার হয়, তাকে আমরা ইংরেজিতে বলি সার্ভাইক্যাল ক্যানসার। জরায়ুতে ফিটাস বা শিশু থাকে, আস্তে আস্তে বড় হয় যেখানে, সেটি হলো জরায়ু। এর নিচের অংশটুকুর নাম হলো সারভিক্স বা জরায়ুমুখ। তো আমাদের দেশে সারভাইক্যাল ক্যানসার বা জরায়ুমুখের ক্যানসার অনেক বেশি ছিল। এখনো যে কমে এসেছে বিষয়টি তা নয়। কিন্তু এখন এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিছুদিন আগেও প্রথম সর্বোচ্চ ছিল। তবে এতে যে জরায়ুমুখের ক্যানসার কমেছে, তা কিন্তু নয়। আগে যেরকম ছিল, সেই রকমই রয়েছে।
প্রশ্ন : জরায়ুমুখের ক্যানসার বাড়ছে কেন?
উত্তর : জরায়ুমুখের ক্যানসার হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। কারণের মধ্যে একটি হলো হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস। হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের ১৬ ও ১৮ যে দুটো ভাইরাস রয়েছে, এর কারণে, জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়ে থাকে। এটি হলো একটি।
অনেকে বেশি বয়সে বাচ্চা নেওয়ার কথা বলেন, দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার কথা বলেন। অনেকে বলেন, একের অধিক যৌন সঙ্গী থাকা। এগুলো জরায়ুমুখের ক্যানসারের কারণ হিসেবে বলা যায়।
প্রশ্ন : জরায়ুমুখের ক্যানসারের লক্ষণগুলো কি প্রাথমিকভাবে বের করা সম্ভব?
উত্তর : প্রাথমিকভাবে যে লক্ষণগুলো সাধারণত থাকে, এর মধ্যে প্রথম হলো সহবাসের সময় রক্তপাত। পোস্ট পার্টাল ব্লিডিং। এ ছাড়া ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা ঘটে। সেটি যখন হবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে গেলে ভালো হয়।
এখন অনেক পদ্ধতি এসছে যেগুলোর মাধ্যমে খুব দ্রুত বোঝা যায়। আমরা বলি, যাদের সহবাস হয়ে গেছে তাদের সবাই যেন স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আসে।