চুলের চিকিৎসায় রি-জেনারেটিভ মেডিসিন

চুলপড়া, চুলের আগা ফাঁটা ইত্যাদি বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসায় রি-জেনারেটিভ মেডিসিন বেশ উপকারী।
চুলের ক্ষেত্রে রি-জেনারেটিভ মেডিসিনের ভূমিকার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩১৮৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন। বর্তমানে তিনি শিওর সেল মেডিকেলের ডার্মাটোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : চুলের যত্ন কীভাবে নেওয়া যেতে পারে? রি-জেনারেটিভ মেডিসিনে আপনি অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। চুলের যত্নে কি এর কোনো ভূমিকা রয়েছে?
উত্তর : রি-জেনারেটিভ মেডিসিন হলো রি-জেনারেশন বা পুনর্গঠনের মাধ্যমে কোনো একটি সমস্যার সমাধান করা। এটি প্রাকৃতিকভাবে করে। কোনো কৃত্রিম কিছু নয়। এই ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের কোনো একটি অংশ নিয়ে আমরা চিকিৎসা করি। যেমন, সেখানে আমরা রক্ত থেকে প্ল্যাটিলেট নিয়ে থাকি বা স্টেমসেল নিয়ে থাকি। রক্ত থেকে স্টেমসেল আলাদা করে চুলে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার করি। রি-জেনারেটিভ মেডিসিন যেহেতু পুরোপুরি প্রাকৃতিক একটি চিকিৎসা, চিকিৎসা প্রক্রিয়াটা একটি হলিস্টিক অ্যাপ্রোচ। তাই এটি পুরোপুরি স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিকভাবে আমি করতে পছন্দ করি।
এ ক্ষেত্রে আমি তো রোগীর ইতিহাস অবশ্যই নেব। তাহলে সেখানে বের হয়ে আসবে বংশগত কারণ, তাঁর জীবন-যাপনের ধরনটা কী বা তাঁর খাদ্যাভ্যাসটা কী। চুলের প্রতি কী রকম যত্ন নিচ্ছেন এটি দেখি। এরপর আমরা চুল পর্যবেক্ষণ করি। চুল পর্যবেক্ষণের মধ্যে আমরা চুল স্ক্রিনিং টেস্ট করি। ডার্মাস্কোপের মাঝখানে আমরা চুলের অবস্থা দেখি। আমরা হয়তো চোখে দেখতে পারছি না, চোখে হয়তো একটু কঠিন লাগছে, কিন্তু মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষার মাধ্যমে দেখছি চুলের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। স্কাল্প আগের মতো স্বাস্থ্যকর লাগছে না। সাদাটে ভাব হয়ে গেছে। এসব আমরা পরীক্ষা করি।
এরপর রয়েছে বিশেষ কিছু পরীক্ষা। যেগুলো শুধু চুলের জন্যই। এই ক্ষেত্রে আমরা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স পরীক্ষা করি। বি কমপ্লেক্সের প্রতিটি বি অর্থাৎ বি-ওয়ান থেকে বি-টুয়েলভ শরীরের কাজে লাগে। আমরা আলাদাভাবে বের করতে পারি যে, কার কতটুকু ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ডি পরীক্ষা করি। জিংক পরীক্ষা করি। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো মেইল হরমোন প্রোফাইল করে থাকি, মেয়েদের ক্ষেত্রে ফিমেইল হরমোন প্রোফাইল করি।
অনেকে ভাবে, আমার তো খালি চুলের আগা ফেটে যাচ্ছে- তাহলে এতো পরীক্ষা কেন। আসলে এটিকে সামান্যভাবে দেখার কিছু নেই। সমস্যার কারণটা তো আগে বের করতে হবে।