হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাথমিক অবস্থায় করণীয়
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/09/27/photo-1538057174.jpg)
হার্ট অ্যাটাকে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। তাই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।
হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২০৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারহাদ উদ্দিন।
ডা. ফারহাদ উদ্দিন বর্তমানে ল্যাব এইড হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হার্ট অ্যাটাকের রোগীরা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে কী করতে পারেন?
উত্তর : তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় হলো আমাকে সন্দেহ করতে হবে, আমার হার্টের ব্যথা হচ্ছে কি না। পাশাপাশি যদি অন্য কোনো রোগ থাকে, উচ্চ রক্তচাপ, তাহলে এই সন্দেহটা প্রবল হবে। যদি আপনি সন্দেহ করতে পারেন, যদি আশপাশে কোনো চিকিৎসক থাকেন, তিনি যদি নিশ্চিত হতে পারেন অনেকটাই যে হার্টের ব্যথা হচ্ছে, এমনকি যদি একটি ইসিজি সম্ভব হয়, যদি নিশ্চিত হওয়া যায় হার্টের ব্যথা হচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে যেটা করতে পারেন, সেটি হলো ৩০০ মিলিগ্রামের একটি এসপিরিন, ৩০০ মিলিগ্রামে ক্লোপিডোগ্রেল জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন- যদি নিশ্চিত হওয় যায়।
প্রশ্ন : ইসিজি বা চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সেটাই তো সময়সাপেক্ষ। তার আগে যদি এই ওষুধ খান, তাহলে কি কোনো ক্ষতি রয়েছে?
উত্তর : যদি হয় যে এটি হার্টের ব্যথা নয়, গ্যাসট্রিকের ব্যথা হচ্ছে, কখনো কখনো সেটা কিন্তু মারাত্মক কারণ হয়ে যায়। ৩০০ মিলিগ্রাম এসপিরিন খাচ্ছেন, এর কারণে গ্যাসট্রিকের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। এই জন্য আমি বলছি যদি নিশ্চিত হতে পারেন, তাহলে খাবেন।
প্রশ্ন : নিশ্চিত না হয়েও যদি কেউ খায়, তাহলে কি ঝুঁকি কমায়?
উত্তর : এর কোনো প্রটোকল (নিয়ম) নেই, তাই বলা মুশকিল। তবে যদি কেউ সেই ঝুঁকি নিয়ে খেতে চান বা কোনো চিকিৎসক যদি কোনো ঝুঁকি নিয়ে খাওয়াতে পারেন, তাহলে খেতে পারেন। যদি বোঝেন যে হার্টের সমস্যা হচ্ছে, তাহলে কোনো রকম দেরি না করে ধারের কাছের চিকিৎসককে দেখাতে পারেন। অথবা একটি হাসপাতালে যেতে হবে। যদি অনেক দেরি হয় নিকটস্ত যে হাসপাতাল রয়েছে বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে সেখানে গিয়ে চিকিৎসাটা শুরু করেন, অন্তত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে হার্টের সমস্যা হচ্ছে কি না। যখন আপনি হৃদরোগ হাসপাতালে রয়েছেন সেখানে যে প্রটোকল রয়েছে, সেটি অনুযায়ী দ্রুত নিশ্চিত হতে হবে যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না এবং দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে। এটাই প্রটোকল।