জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি সেবনে স্তন ব্যথা হতে পারে

জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি সেবন, হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি গ্রহণ ইত্যাদি কারণে স্তন ব্যথা হতে পারে। স্তন ব্যথার সঙ্গে জীবন যাপনের সম্পর্কের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২১৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আফরিন সুলতানা।
ডা. আফরিন সুলতানা বর্তমানে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কীভাবে আপনারা নিশ্চিত হন যে তার আসলেই কোনো সমস্যা নেই?
উত্তর : এটা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। প্রথমেই রোগীকে আমরা পরীক্ষা করি। ক্লিনিক্যাল স্তন পরীক্ষা যেটা, যেটা একজন ফিজিশিয়ান করেন, সেটি করি। আমরা প্রথমে বিভিন্ন অঙ্গ বিন্যাসে রোগীকে পরীক্ষা করে দেখি। দেখি যে তার আসলেই খুব বেশি ব্যথা রয়েছে কি না। রোগী আসলেই এটিতে কষ্ট পাচ্ছে কি না, এটি দেখি। এরপর আমাদের মেডিকেশনে যেতে হয়। আমরা একটি পরীক্ষা নিজেরাই ধারণা করে নিই, অনেক ক্ষেত্রে একটি আল্ট্রাসোনোগ্রাম করা লাগতে পারে। যদি আমাদের মনে হয়, এর দরকার রয়েছে, তখন করি। আর স্তন ব্যথার সময়টুকু দেখি। দেখি যে তার ঋতুস্রাবের পরেও ব্যথা হচ্ছে কি না। তখন আমরা তাদের সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেই।
প্রশ্ন : জীবন যাপনের ধরন কী এ ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করে থাকে? এদের কোনো পরামর্শ কি দিয়ে থাকেন?
উত্তর : জীবন যাপনের ধরন কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ রোগকে প্রভাবিত করে। যারা ওরাল কনট্রাসেপটিভ পিল বা জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি ব্যবহার করে থাকে, তাদের এমন ব্যথা হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি যারা নেয়, তাদের ক্ষেত্রে এমন ব্যথা হতে পারে। যাদের ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেছে, তারা অনেক সময় হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নেয়। বয়সের সঙ্গেও ব্যথার ধরনটা আলাদা হতে পারে। যেটা ঋতুস্রাবের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। বা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় তার ব্যথাটা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের নিজেদেরই এটা বুঝে নিতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগুলো এড়ানো যেতে পারে।
প্রশ্ন : পরবর্তী সময় কি ফলোআপের জন্য আসতে বলেন? তখন কী দেখেন?
উত্তর : যখনই রোগী আসলে আমাদের কাছে মেসটালজিয়া নিয়ে আসে, সবার প্রথমে যেই জিনিসটা দরকার হয়, সেটি হলো তাদের কাছে বর্ণনা করা। সবাই খুব ভয়ে থাকে যে আমার ক্যানসার হয়ে গেল কি না। কোনো অসুবিধা রয়েছে কি না। যেহেতু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটা ফিজিওলজিক্যাল প্রক্রিয়া, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের প্রাকৃতিক। রোগীকে পরামর্শ দিতে হয়। যখনই দেখে, তেমন কোনো কঠিন রোগ নেই, মানসিকভাবে সে অনেক স্বস্তি পায়। আমরা তো বলি যে কাউন্সেলিংয়ে এটি অনেকটুকুই ভালো হয়ে যায়। যাদের আসলেই অসুবিধা থাকে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা ওষুধ দেই। সাধারণত ছয় সপ্তাহ থেকে তিন মাসের মধ্যে আমরা রোগী ভেদে ফলোআপের জন্য আসতে বলি। তখন আমরা আবার রোগীকে পরীক্ষা করে দেখি।