মূত্রতন্ত্রের পাথরের চিকিৎসা কী?

মূত্রতন্ত্রের পাথর একটি জটিল সমস্যা। মূত্রতন্ত্রের পাথরের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৩২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আজফার উদ্দীন শেখ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মূত্রতন্ত্রের পাথরের চিকিৎসা কী?
উত্তর : এ বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পর, পাথর কোথায় রয়েছে জানার পর, আমরা পাথরের আকার দেখি যে পাথর কত বড়। যদি পাথর পাঁচ মিলিমিটার বা তার থেকে ছোট হয়, তাহলে খুব সম্ভাবনা থাকে, পাথর এমনিতেই বের হয়ে যাওয়ার। সেই জন্য আমরা ওই সব ক্ষেত্রে কোনো ইন্টারভেনশন বা কোনো সার্জারি করি না, যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনো বাধা বা সংক্রমণ হয়।
তবে অনেক সময় ছোট পাথরও বাধা তৈরি করতে পারে এবং সংক্রমণ তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত পাথর বের করতে হয় এবং অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করতে হয়। সেটি না হলে ইউরোসেপসিস হয়ে রোগী খারাপ হয়ে যেতে পারে। আর যদি পাথর পাঁচ মিলিমিটারের বড় হয় এবং সেটি কিডনিতে থাকে, বাইরে থেকে শক ওয়েভ দিয়ে স্টোন ক্র্যাশ করে দেওয়া যায়। প্রস্রাবের সঙ্গে চলে আসে। এখন আরো অনেক আধুনিক জিনিস বের হয়েছে। একে বলে আরআইআরএস।
প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ইউরোস্কোপ ঢুকিয়ে দিলে এটি কিডনি পর্যন্ত চলে যায়। এর পর লেজারের সাহায্যে ওই পাথর ভেঙে নিয়ে চলে আসি। আর পাথর যদি বড় হয়, দুই সেন্টিমিটার বা তার ওপরে, তাহলে একটি পদ্ধতি পিসিএনএল দিয়ে বের করি। পারকিউটেনিয়াস নেফ্রোলিথোটোমি বলে। এটি একটি কি-হোল সার্জারি। পিঠের পেছন দিয়ে একটি কি-হোল করা হয়। সেখান দিয়ে একটি নেফ্রোস্কোপ ঢুকিয়ে, পাথরকে ক্র্যাশ করে নিয়ে আসা হয়।