গরম পানি পানে কি কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে?
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রচলিত একটি সমস্যা। সাধারণত আঁশজাতীয় খাবার কম খাওয়া, প্রত্যেক বেলার খাবার ঠিকমতো না খাওয়া, পানি পানের পরিমাণ কম হওয়া ইত্যাদি কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
তবে অনেকের ধারণা, গরম পানি পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। বিষয়টি কি আসলে সঠিক? এ প্রসঙ্গে কথা হয় থাইরোকেয়ার বাংলাদেশের পুষ্টিবিদ মো. ইমদাদ হোসেন শপথের সঙ্গে।
পুষ্টিবিদ ইমদাদ হোসেন শপথ বলেন, ‘আসলে অতিরিক্ত গরম পানি তো পান করা সম্ভব নয়। হালকা কুসুম গরম পানি পান করলে সমস্যা নেই। এতে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা কম।’
তবে বেশি গরম পানি না করাই ভালো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এতে শরীরের মেটাবলিজম (বিপাক) বাধাগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত গরম পানি পানে অনেক সময় ভিটামিন, মিনারেল ঠিকমতো শোষণ হয় না। এ জন্য শরীরে অন্যান্য সমস্যা হতে পারে।’
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার বিভিন্ন কারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণত একজন মানুষকে দৈনিক ছয়বেলা খাবার খাওয়ার কথা বলি। এর মধ্যে তিনটি বড় খাবার এবং দুটো ছোট খাবার—এভাবে ভাগ করতে হয়। এই খাবার যদি কেউ ঠিকমতো না গ্রহণ করেন, তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে। আবার যারা চা-কফি বেশি খান, শাকসবজি কম খান, দৈনিক ৮ থেকে ১০ গ্লাসের কম পানি পান করেন, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে।’
কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে করণীয় বিষয়ে পুষ্টিবিদ শপথের পরামর্শ, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে আঁশজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া যেসব খাবারে পানির পরিমাণ বেশি থাকে, সেসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। চালকুমড়া, নাশপাতি, পেয়ারা, পেঁপে ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখা যেতে পারে।