গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস প্রতিরোধের উপায় কী?

কিডনির জটিল রোগ গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস। একে কিডনির ছাঁকনির প্রদাহজনিত রোগ বলা হয়।
সাধারণত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে কিডনিকে আক্রান্ত করতে পারে। আর এ থেকে হতে পারে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস। গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস প্রতিরোধের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস প্রতিরোধে কী করা প্রয়োজন?
উত্তর : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনির সংক্রমণ যেটি থেকে হয়, সেটি হলো গলাব্যথা ও ত্বকের সংক্রমণ থেকে। এই জন্য ত্বকে যেন সংক্রমণ না হয়, সে জন্য তাদের গোসল করতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। যার যার পোশাক আলাদাভাবে তার পরা ভালো। ত্বকের রোগ স্কেবিজ কিন্তু খুব ছোঁয়াচে। দ্রুত একজনের কাছ থেকে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে যায়। একজনের গায়ে স্পর্শ লাগলে আরেকজনের গায়ে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে কাপড় যেগুলো ব্যবহার করে, লেপ, তোশক, কাঁথা, বেডশিট এগুলোর মাধ্যমে কিন্তু সবচেয়ে বেশি স্কেবিজ ছড়িয়ে যায়। কাজেই কারো যদি কখনো স্কেবিজ হয়ে যায়, তাকে আলাদা করে রাখতে হবে। চিকিৎসাটা বাসার সবার একসঙ্গে নিতে হবে। তাদের কাপড়চোপড় গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ করে ধুতে হবে। আর কাপড় আয়রন করতে হবে, যেন কোনো জীবাণু থাকলে সেগুলো মারা যায়।
যদি সংক্রমণ হয়, সেগুলোর ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসা করতে হবে। কাছের চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক স্কেবিজের চিকিৎসার পাশাপাশি সংক্রমণেরও চিকিৎসা দিয়ে দেবেন।
আর ঠান্ডা যেন না লাগে, গলা ব্যথা যেন না হয় সে ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। ঠান্ডা লাগার যাদের প্রবণতা রয়েছে, তাদের শীতের পোশাক ভালোভাবে পরতে হবে। সেইসঙ্গে গলায় মাফলার বা কাপড় জড়িয়ে রাখতে হবে।