শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে নয়

শ্বেতী রোগ ছোঁয়াচে- অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করে। তবে সঠিক হলো এই রোগ ছোঁয়াচে নয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম।
ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম বর্তমানে ঢাকা ডার্মাটোলজি ইনস্টিটিউট ও লেজার ট্রিটে ডার্মাটোলজি বিভাগে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শ্বেতী রোগ নিয়ে অনেকের ভেতরই একটি ধারণা রয়েছে যে রোগটি ছোঁয়াচে কি না? এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?
উত্তর : না, এটি ছোঁয়াচে নয়। বাংলাদেশের একটি অংশে, আমি নাম বলব না,সেখানে এই রোগকে বলে ধবল কুষ্ঠ। কুষ্ঠ বলে কতটা অবহেলার চোখে দেখা হয়, ভাবুন! আসলে একে এভাবে ভাবার কিছু নেই। সামাজিক ভাবে আসলে খুব মুশকিল হয় বিষয়টি নিয়ে। আমাদের উপমহাদেশে এটি দেখা যায় বেশি। যুক্তরাষ্ট্রেও কিন্তু অনেক শ্বেতী রোগী রয়েছে। তবে তাদের আলাদা করা যায় না। আমাদের এখানে সামাজিকভাবে খুব মুশকিল হয়ে যায়। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য। বিয়ের আগে যদি এসব বিষয় ঘটে তাহলে খুব কঠিন হয় বিয়ে হতে। কারো পরিবারে যদি শ্বেতী রোগ হয়, তাহলে পরিবারের অন্য সদস্যদের ক্ষেত্রেও যেহেতু হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই তাদের প্রতি মানুষের একটি নেতিবাচক ধারণা জন্মে। এটি আসলে সৌন্দর্যহানি ঘটানো ছাড়া আর কিছু করে না।
আমি রোগীদের বলি প্রাথমিক অবস্থায় শ্বেতী রোগ হলে কারো সঙ্গে আলোচনা করা দরকার নেই। আমি অনেক সময় বলি, স্বীকারই করার দরকার নেই কারো সঙ্গে। কারণ, ‘তুমি যার সঙ্গেই বলো না কেন বিষয়টিকে সবাই অন্যভাবে নেবে।’
সাইকোলোজিক্যালই কাউন্সেলিংয়ের খুব প্রয়োজন শ্বেতী রোগীর ক্ষেত্রে। কারণ, যে চিন্তা করবে বেশি তার সঙ্গেই বেশি হবে। সে যদি সারাক্ষণ এটি নিয়ে চিন্তা করে অনেক সময় তার চিকিৎসা আর কাজ করে না। আর এটি যদি সে পাত্তা না দেয়, তাহলে সে ভালো হয়ে যায়।