হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর চিকিৎসা কী?
হৃদপিণ্ডের রক্তনালি ব্লক হয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়। হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩১৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. ফারহাদ উদ্দীন।
ডা. মো. ফারহাদ উদ্দীন বর্তমানে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হার্ট অ্যাটাক নিয়ে একজন রোগী চিকিৎসকের কাছে গেলে, তার কোন পর্যায়ে কোন চিকিৎসাটা আসলে হওয়া উচিত?
উত্তর : যদি হার্ট অ্যাটাক হয়, তার জন্য আদর্শ ব্যবস্থা হলো, হৃদরোগের চিকিৎসা হয়, এমন একটি হাসপাতালে দ্রুত যাওয়া। সেখানে খুবই দ্রুততার সঙ্গে তার চিকিৎসা করা হবে। তার আসলেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না এবং তিনি হার্ট অ্যাটাক জনিত কোনো জটিলতায় ভুগছেন কি না সেটা দেখা হবে। এরপর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার বিষয়ে পছন্দ করতে দেওয়া হবে, অবশ্য যদি হাসপাতালে সেই সুযোগটা থাকে তাহলে। এর মধ্যে একটি হলো প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি। আরেকটি হলো থ্রম্বোলাইটিক থেরাপি। এটি আমরা ইনজেকশনের মাধ্যমে করি।
প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টির কাজ হলো দ্রুত রোগীকে এনজিওগ্রাম টেবিলে নিয়ে যাওয়া, এজিওগ্রাম করা, যে রক্তনালিতে রক্ত জমে বা চর্বি জমে হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে, সেই রক্তনালিতে রিং পরিয়ে দেওয়া। একে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি বলে। এর আরো কিছু ভার্সন রয়েছে। রেসকিও এনজিওপ্লাস্টি, ফার্মাকোভেইসিভ এনজিওপ্লাস্টি। যদি এই সুযোগটা থাকে এবং চিকিৎসকরা যদি মনে করেন, রোগীর বেলায় এটি করা যাবে এবং রোগীকে পছন্দ করতে বলেন, তাহলে আমার পরামর্শ থাকবে, রোগী এনজিওপ্লাস্টি করার সুযোগটা গ্রহণ করবেন।
এখন বলা হয়, প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টি সবদিক থেকে ইনজেকটেবল থ্রম্বোলাইসিসের তুলনায় অনেক বেশি ভালো। অনেক বেশি তার সফলতার হার। অনেক বেশি নিরাপদ থাকে এবং পরবর্তী জটিলতাগুলো কমে যায়। এনজিওগ্রাম করার পর যদি চিকিৎসকরা মনে করেন, তার এনজিওপ্লাস্টি হবে না, তাকে থ্রম্বোলাইসিস করা হবে, পরে সার্জারি করা হবে, সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে প্রাইমারি এনজিওপ্লাস্টির সুযোগ যেকোনো রোগীর বেলায় তার সামর্থ অনুযায়ী গ্রহণ করা উচিত।