দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণ কী?
ক্রনিক কিডনি রোগ বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ একটি জটিল সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ,ডায়াবেটিস, গ্লুমেরুলোনেফ্রাইটিস ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণ।
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৯০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জাকির হোসেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ইউরোলজির কিডনি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বলতে কী বোঝানো হয়? কোন কোন সমস্যাগুলো এর মধ্যে পড়ে?
উত্তর : ক্রনিক কথাটার অর্থ হলো দীর্ঘ। যখন একজন মানুষের কিডনির গঠনের ও কাজের সমস্যা তিন মাসের বেশি সময় ধরে থাকে, তখন আমরা একে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বলি।
প্রশ্ন : দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়?
উত্তর : দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের অনেক কারণ রয়েছে। কারণের ওপর লক্ষণগুলো আসে। বিশ্বব্যাপী ক্রনিক কিডনি ডিজিজের অন্যতম কারণ হলো, ডায়াবেটিস মেলাইটাইটিস। দুই নম্বর কারণ হলো, উচ্চ রক্তচাপ। তিন নম্বর হলো, কিছু পারিবারিক রোগ। চার নম্বর হলো, গ্লুমেরুলোনেফ্রাইটিস। আরেকটি হলো দীর্ঘমেয়াদি এনএসআইডি বা ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া।
একজন ডায়াবেটিস রোগী হয়তো দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছে, একটি সময় প্রধান সমস্যা হিসেবে সে বলে যে আমার পায়ে পানি আসছে। আবার সে বলতে পারে, আমারতো আগে প্রেশার ছিল না, ইদানীং আমার প্রেশার বেড়ে গেছে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রথম দিকে সাধারণত এ ধরনের অভিযোগ করে। প্রথমদিকের লক্ষণগুলো সাধারণত এমনই হয়।
এখন একজন ডায়াবেটিস রোগী যদি ভালোভাবে চিকিৎসা না নেয়, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হলে সাধারণত তার রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তের চর্বি, লিপিড প্রোফাইল- এই চারটা যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করি, তাহলে কিডনি ফেইলিউরের শেষ পর্যায় যেতে হয় না। তবে এটি হয়, প্রথম দিকে যদি কিডনি রোগ ধরা পড়ে সেক্ষেত্রে।
ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণ না করে, প্রোটিন ইউরিয়া নিয়ন্ত্রণ না করলে, রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, রক্তশূন্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, সেটি একসময় শেষ পর্যায়ে যাবেই।