অটিজমের চিকিৎসা কী?
বিশ্ব অটিজম দিবস আজ। দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্নদের অধিকার’। অটিজমে আক্রান্ত শিশু বা ব্যক্তির চিকিৎসার করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৯৫তম পর্বে কথা বলেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আজিজুর ইসলাম।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আজিজুর ইসলাম বর্তমানে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অটিজম আক্রান্ত শিশুকে কীভাবে সম্পদে পরিণত করা যেতে পারে?
উত্তর : প্রথম হলো, আমাদের সাইকো এডুকেশন লাগবে। আমাদের শিক্ষা দিতে হয়। শিক্ষাটা হবে অভিভাবকদের। যারা শিশুর যত্ন নেয়, তাদের। শিক্ষা হবে আমাদের সবার জন্য। বোঝাতে হবে, অটিজম এমন একটি জিনিস, এর চিকিৎসা দিয়ে, ব্যবস্থাপনা করে মূল স্রোতে নিয়ে আসা যায়। এরপর দ্বিতীয় হলো প্রশিক্ষণ। এই প্রশিক্ষণ হলো যার কথা বলায় সমস্যা রয়েছে, তাকে স্পিচ ও ল্যাঙ্গুয়েজথেরাপি দিতে হবে। অনেক সময় অকুপেশনাল থেরাপি ব্যবহার করা হয়। এতে তার অতিরিক্ত চঞ্চলতা, বিরামহীনতাগুলো কমে যায়। অনেকের ফিজিওথেরাপি দিতে হয়। কারণ, অটিজমের সঙ্গে সঙ্গে অনেকের দেখা যায় শারীরিক উপসর্গ থাকে। এগুলো ব্যবস্থাপনা করার জন্য ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়।
অনেক সময় স্পর্শকাতরতার সমস্যা থাকে। তখন সেনসোরি স্টিমুলেশন করা হয়। অনেককে প্লে থেরাপি দেওয়া হয়। খেলাধুলার মাধ্যমে যেন সে অন্য ১০ জনের সঙ্গে মিশতে পারে, সেটি শিক্ষা দেওয়া হয়। এটি করতে হবে বিশেষ স্কুলের মাধ্যমে, করতে হবে আমার ঘরে। কারণ, বিশেষায়িত স্কুলে তো আর সারাক্ষণ থাকে না। অতএব, আমার ঘরেও এই প্রশিক্ষণটা দিতে হবে। সব প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো আমাকে মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে নেওয়া। এর মধ্যে যারা উন্নতি করবে, তাদের স্কুলে দিতে হবে। কিছু স্বাভাবিক স্কুল রয়েছে, কিছু সাহায্যকারী স্কুল রয়েছে। এগুলোতেও বাচ্চাদের দিতে হবে।
আমাদের দেশে কিন্তু আইন রয়েছে এসব শিশুকে স্বাভাবিক স্কুলে ভর্তি করার জন্য। তবে আমরা দেখেছি, অনেক সময় এটি হয় না। তবে সবাইকে জানতে হবে, আমরা যদি তাদের সাহায্য না করি তাহলে তো তারা মূল স্রোতে আসতে পারবে না।
আর আজকের যে প্রতিপাদ্য ছিল, এটি অনুযায়ী আমরা যদি কিছু প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা তাদের মূল স্রোতে আরো ফিরিয়ে আনতে পারব।
প্রশ্ন : অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের খাবারে কোনো বাছ-বিচার রয়েছে কী?
উত্তর : অটিজম আক্রান্ত বাচ্চাদের গ্লুটিন ও ক্যাসিন ফ্রি খাবার দিলে তাদের জন্য উপকারী। গ্লুটিন হলো যেসব খাবারে যব, ময়দা, আটা রয়েছে, সেগুলো। আর ক্যাসিন হলো দুধ। তো যব, আটা, ময়দা যেসব খাবারের রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে যেতে হবে এবং দুধ ও দুধজাতীয় খাবার এড়িয়ে যেতে হবে।