দাঁতের ফিলিং কত দিন পর বদলাতে হয়?
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/04/24/photo-1556095430.jpg)
দাঁতের ক্ষয় রোধে ফিলিং করা হয়। আগে মার্কারি ফিলিং করা হলেও বর্তমানে এই চিকিৎসা পদ্ধতি অনেক আধুনিক হয়েছে।
অনেকে ভাবেন, দাঁতের ফিলিং একবার করলে আর করতে হয় না। তবে ধারণাটি সঠিক নয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এটি বদলাতে হয়।
ফিলিং কত দিন পর পর বদলাতে হয় এবং দাঁতের বিভিন্ন আধুনিক চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪১৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতন’স ডেন্টালের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বর্তমানে দাঁতের সমস্যায় আধুনিক কী কী চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে ?
উত্তর : অনেক দিন আগে আমরা যখন পাস করে বের হই, ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সালের কথা বলি, তখন আমাদের দেশে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম কিছু ছিল না। তবে এগুলো শেখার চাহিদা আমাদের ছিল। আমরা বিভিন্ন দেশে দৌড়াতাম এগুলো শেখার জন্য। দেখতে দেখতে এখন অনেক দিন পেরিয়ে গেছে, আমাদের দেশ বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শুরু করেছে। এখন নতুন কিছু শেখা যায়, নতুন কিছুর সঙ্গে পরিচয় করানো হয়; নতুন যন্ত্র কেনা হয়।
এখন আমাদের দেশে অনেক প্রথিতযশা সার্জন রয়েছে।
আগে জেনারেল প্র্যাকটিস ছিল। এখন সেটি নেই। আলাদা আলাদা বিভাগে প্র্যাকটিস করা হচ্ছে। অর্থডোন্টিস্ট বিভাগ হয়েছে, প্যারিওডোন্টলজি হয়ে গেছে, সার্জারি হয়েছে, অ্যান্ড্রোডোন্টিস্ট হয়ে গেছে। নতুন নতুন বিভাগ এসেছে। এটা আধুনিকীকরণ। এখন মানুষ দাঁত ফেলতে চায় না। কী করে রাখা যাবে, সেই চিন্তা করে। মানুষ আঁকাবাঁকা দাঁত নিয়ে আগে এত ভাবত না, কিন্তু এখন চিন্তা করে আমার বাচ্চার দাঁত যেন বাঁকা না হয়। দাঁতের অনেক আধুনিক চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে এসে গেছে। এই চিকিৎসাগুলো এখন বাংলাদেশে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।
প্রশ্ন : দাঁতের ফিলিং এখন কতটা আধুনিক হয়েছে?
উত্তর : আমি একটি জিনিস মনে করি, কাউকে কোনো দোষ দেওয়া যাবে না। এখন আমরা দোষ দিই, মার্কারি ফিলিংকে। তবে এক সময় কী ছিল, এই গর্তটা ভরার জন্য কিছু ছিল না। এই মার্কারি ফিলিংই দেওয়া হতো। কিন্তু এখন গবেষণা করতে করতে বোঝা গেছে, এটি ক্যানসার তৈরি করতে পারে। এখন সেই ব্ল্যাক ফিলিং আর হচ্ছে না। এখন অনেক ধরনের ফিলিং এসেছে। অনেক ধরনের কম্পোজিট ফিলিং চলে এসেছে। মাঝখানে গর্ত ভরাট করার জন্য এক ধরনের ফিলিং করা হচ্ছে, পাশে ক্ষয় ভরাটের জন্য আরেক ধরনের ফিলিং হচ্ছে। সবগুলোই প্রাকৃতিক রঙের। এখন যেগুলো দিয়ে ফিলিং হচ্ছে, এগুলো ক্যানসার তৈরি করে না। দাঁতের রং যেমন, একেবারে সেই রঙের হয়।
এখন যদি কেউ মনে করে, আমার ফিলিংটা আজীবন থাকবে, তাহলে ভুল। দাঁতের ফিলিং সারা জীবন থাকবে, এ ধরনের ধারণা ভ্রান্ত। আগে যেই মার্কারি ফিলিংটা করল, সেটি মেটাল থাকত। এতে ক্ষয় কম হতো। তবে লিকেজ হতো চারদিক দিয়ে।
আমরা মনে করি, তিন থেকে চার বছর পর পর ফিলিং পরিবর্তন করে ফেলা ভালো। রোগী নিয়মিত দন্ত্য চিকিৎসকের কাছে গেলে, সে-ই তাকে বলে দেবে, ফিলিং পরিবর্তনের কথা। এটি না করলে দাঁতের পাশ দিয়ে খাদ্যকণাগুলো ঢুকে ক্ষয় তৈরি হয়। এই জন্য প্রত্যেকটি ফিলিং পরিবর্তন করা ভালো। কেউ যেন না মনে করে, আমি এটি একবার করেছি। এটি সারা জীবন ভালো থাকবে।