মুখে কালো দাগ কেন হয়?

অনেকেই মুখ বা ত্বকে কালো দাগের সমস্যায় ভোগে। এই কালো দাগের সমস্যা কেন হয় ?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪২৮তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রোকন উদ্দিন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ডার্মাটোলজি বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মুখে বা ত্বকে কালো দাগ হয় কেন?
উত্তর : আমরা জানি, আমাদের ত্বকের যে কোষগুলো থাকে, এর মধ্যে মেলানোসাইট বা রং তৈরি করার একটি কোষ থাকে। এর কাজ হলো মেলানিন বা রং তৈরি করা।
আমাদের মেলানোসাইট সবারই সমান। তবে মেলানিন উৎপাদন যাদের কম, তারা ফর্সা। আর যাদের মেলানিন উৎপাদন বেশি তারা একটু কালো। বিভিন্ন বিষয়ের কারণে ত্বকের রং কালো হতে পারে। ওষুধের কারণে রং কালো হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যে কারণগুলোতে কালো রং বেশি তৈরি হয়, এর মধ্যে একটি হলো, গর্ভধারণ। এ ছাড়া হরমোনের কিছু কারণ রয়েছে। সূর্যের আলোও একটি অন্যতম কারণ। আসলে ত্বক কালো করে দেওয়ার জন্য সূর্যের আলো অনেক বড় একটি কারণ।
বাংলাদেশে এক সময় খুব বড় একটি সমস্যা ছিল। আর সেটি হলো, আর্সেনিক। আর্সেনিকও একটি বড় কারণ। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে, জন্মনিরোধক পিল, কসমেটিকস, স্টেরয়েড, এমনকি দাগ কমানোর জন্য যে পণ্যগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর কারণেও ত্বক কালো হয়।
সিস্টেমিক অনেক ওষুধও সমস্যা করতে পারে। ক্রনিক লিভার ডিজিজ, কিডনি ডিজিজে ত্বক কালো হয়ে যায়।
প্রশ্ন : অনেকের কোথাও কোথাও কালো দাগ হয়, তিলের মতো। এর কারণ কী?
উত্তর : আপনি যেটি বলছেন, তিল- এর প্রধান কারণ হলো, সূর্যের আলো। আলোর জন্য পিগমেন্টেশন হয়। তখন সে তিল নিয়ে আসবে। এ ছাড়া অনেক জন্মগত কারণ বা ত্রুটির জন্যও মুখে কালো দাগ আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেহে একটি এনজাইম থাকে না। তাই সূর্যের আলোর কারণে ত্বকে যে ক্ষতি হয়, ত্বক একে আর ঠিক করতে পারে না। এ কারণে দাগ হতে পারে।
এ ছাড়া বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো, আমাদের বয়স বৃদ্ধির পদ্ধতি। এই কারণগুলো প্রধানত দায়ী।
এ ছাড়া হরমোন ও থাইরয়েডের কারণেও কালো হতে পারে। এডারনাল গ্ল্যান্ড ইনসাফিসিয়েন্সি নামে একটি রোগ রয়েছে। এ কারণেও হতে পারে।