লো ব্লাড প্রেশারকে কখন অসুখ বলবেন?

ব্লাড প্রেশারের মধ্যে সিস্টোলিক বা ওপরেরটা ১০০ বা ৯০ থাকলে এবং ডায়াস্টোলিক বা নিচেরটা ৬০-এর নিচে থাকলে একে লো ব্লাড প্রেশার বলে।
লো ব্লাড প্রেশারের লক্ষণ কী? কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে? একে কখন অসুখ বলা হবে, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৫২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ ফারহাদ উদ্দীন। বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : লো ব্লাড প্রেশারের আসল লক্ষণগুলো কী?
উত্তর : খুব সুন্দর একটি প্রশ্ন। তাহলে কখন আমরা লো ব্লাড প্রেশারকে অসুখ বলব? লো ব্লাড প্রেশার কিন্তু চারটিখানি কথা নয়। আমাদের শরীর এমনভাবে ব্যবস্থাপনা হয় যে সবসময় সে চায় তার কাজকর্ম চালবার জন্য নিজের ব্লাড প্রেশারের মাত্রাকে ঠিক রাখতে। নিজের শরীরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্লাড প্রেশারের মাত্রাকে ঠিক রাখতে। এটি যদি কখনো কোনো কারণে কম হয়ে যায় এবং আসলেই অসুখে পরিণত হয়ে যায়, সেটি একটি জটিল সমস্যা। এটা এমনি এমনি হবে না। যেমন, রোজার সময় কেউ হয়তো দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করে রয়েছেন, বা ঠিকমতো পানি পান করেননি সেহরির সময়। দেখা যায়, তার শরীরে পানিশূন্যতা হচ্ছে, তখন তিনি লো ব্লাড প্রেশারে পড়ে যেতে পারেন। এক নম্বর।
কারো হয়তো ডায়রিয়া হচ্ছে এবং খুব বমি হয়ে যাচ্ছে, প্রচুর পরিমাণ তরল বের হয়ে যাচ্ছে শরীর থেকে, তিনি লো ব্লাড প্রেশারে পড়ে যাচ্ছেন। কারো কারো হয়তো হঠাৎ করে কোনো কারণে রক্তপাত হচ্ছে, দুর্ঘটনার কারণে। রক্ত চলে যাচ্ছে অনেক। তার লো ব্লাড প্রেশার হতে পারে। এটি কিন্তু জটিল অবস্থা। শকে চলে যাচ্ছে অনেক সময়।
অনেক সময় দেখা যায়, তার হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। হার্ট অ্যাটাকের কারণে হার্টের যে পরিমাণ কাজ করার ক্ষমতা সেটি করতে পারছে না। ব্লাড প্রেশারটা তৈরি করতে পারছে না। তখন তিনি হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে শকে চলে যাচ্ছেন। এ রকম বেশ কয়েক ধরনের শক রয়েছে। শকগুলোতে কিন্তু ব্লাড প্রেশার লো হয়ে যায়। এসব সময়ে কিন্তু তাকে দ্রুত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। তাহলে ওই লো ব্লাড প্রেশার থেকে তিনি হঠাৎ করে অত্যন্ত জটিল সমস্যায় পড়ে যেতে পারেন।