ক্লান্ত লাগার ৫ কারণ ও সমাধান
সারা দিন ঝিমুনি, অবসন্নভাব, কাজে অনিহা ইত্যাদি ক্লান্ত থাকার লক্ষণ। পুষ্টির ঘাটতি, ব্যায়াম না করা, পানিশূন্যতা ইত্যাদি এ সমস্যার কিছু কারণ। ক্লান্ত লাগার পাঁচ কারণ ও এর সমাধান জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমিডি।
১. ব্যায়াম না করা
নিয়মিত ব্যায়াম না করা ক্লান্ত লাগার একটি অন্যতম কারণ। তবে ২০০৮ সালে সাইকোথেরাপি ও সাইকোমেটিকসে প্রকাশিত
একটি গবেষণায় বলা হয়, অন্তত ৬৫ ভাগ ক্লান্তি দূর করতে কাজ করে ব্যায়াম। তাই ক্লান্তি দূর করতে সপ্তাহে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।
২. পানিশূন্যতা
পানিশূন্যতা ক্লান্তি ও অবসন্নভাব বাড়ায়। সামান্য পরিমাণ পানিস্বল্পতা হলেও শরীরে ক্লান্তিভাব হয়। তাই ক্লান্তিভাব কমাতে দিনে অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করুন। পাশাপাশি খেতে পারেন ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি।
৩. ঘুমের সমস্যা
ঘুমের গুণগত মান খারাপ হলে ক্লান্তিভাব হয়। এমনকি ঘুম একটু কম হলেও এটি মেজাজ ও স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। ২০০৫ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়, ঘুমের অসুবিধা হলে মেজাজ ওঠা-নামা করে। এটি যোগাযোগ কার্যক্রমকে ব্যহত করে।
৪. স্থূলতা
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও কায়িক পরিশ্রম না করে সারাক্ষণ শুয়ে-বসে থাকা ক্লান্তি ও অবসন্নভাব তৈরির জন্য দায়ী। এমনকি স্থূলতার কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া, ঘুমের সমস্যা হয়। তাই ক্লান্তিভাব কাটাতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
৫. পুষ্টির ঘাটতি
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হলেও কিন্তু ক্লান্তিভাব হয়। আপনি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে না চললে পুষ্টির ঘাটতি হবে। ক্লান্তিভাব কমাতে খাদ্যতালিকায় আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১২ ও ম্যাগনেসিয়াম রাখুন।
তবে শরীরের অনেক জটিল সমস্যাতেও কিন্তু ক্লান্তিভাব হয়। তাই উপরের পরামর্শগুলো পালন করার পরও ক্লান্তিভাব নিয়মিত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।