শিশুর রাগ কমাতে কিক বক্সিং
বাড়ন্ত বয়সে অনেক শিশুই বেশ রাগী, অমনোযোগী এবং অস্থির হয়ে থাকে। শিশুর এমন রাগ হলে তার জন্য ভালো একটি ব্যায়াম হতে পারে কিক বক্সিং। মনোযোগ, শক্তি এবং রাগ নিয়ন্ত্রণে কিক বক্সিং বেশ ভালো কাজ করে। আজ শুক্রবার (৬.৩.২০১৫ তারিখ) ১৯৬৬ পর্বে এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের সুস্থ দেহ সুস্থ মন বিভাগে কমব্যাট জিমের প্রশিক্ষক শামীমা আক্তার তুলি দেখিয়েছেন এই ব্যায়াম। সহযোগী হিসেবে ছিল ছোট্টবন্ধু লিও। আরো ছিলেন কমব্যাট ফিটনেস জিমের প্রশিক্ষক আজম খান।
কিক বক্সিংকে ভালো ধরনের কার্ডিও অ্যাকটিভিটি বলা হয়ে থাকে। অনেকে শরীরে চর্বি ঝরাতে (ফ্যাট বার্ন) কেবল দৌড়ানো বা অ্যারোবিকসকেই ভালো মনে করেন। তবে ক্যালরি পোড়ানোর ক্ষেত্রে কিক বক্সিংও কার্যকরী।
কেননা কিক বক্সিংয়ে হাত-পায়ের নড়াচড়ার পাশাপাশি শক্তিটাও ব্যবহৃত হয়। এর ফলে ক্যালরি ভালোই পোড়ে।
শিশুরা শারীরিক পরিবর্তনের সময় শরীরে জমাকৃত শক্তিটা বের করতে পারে না। এ কারণে অনেক শিশুই খুব আগ্রাসী (অ্যাগ্রেসিভ) হয়ে যায়। ঘরের ভেতর ভাঙচুর করে বা অল্পতে খুব রাগ করতে থাকে। সেই মারামারিটাই যদি একটা নির্দিষ্ট কার্যকলাপের মধ্যে করে তখন শক্তিটা বের হয়ে যায়। পাশাপাশি একটি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জীবন গঠন শিখতে পারে।
ব্যায়াম
এখানে তিনটি পদ্ধতিতে ব্যায়ামটি করা হয়। হুক, আপারকাট এবং সাইড কিক।
হুক : সাহায্যকারীর হাতে বক্সিং প্যাড লাগানো থাকবে। প্রথমে শিশুটি ডান হাত দিয়ে সাহায্যকারীর বাম হাতে আঘাত করবে।
আপারকাট : এরপর বাম হাত দিয়ে সাহায্যকারীর ডান হাতে আঘাত করবে।
সাইড কিক : এরপর বাম পা দিয়ে সাহায্যকারীর ডান হাতে আঘাত করবে।
এখানে প্রতিটি কিক ঠিক লক্ষ্যমতো ছুড়তে হবে। এই ব্যায়ামে অহেতুক হাত-পা ছোড়াছুড়ি করলে চলবে না। নিয়ন্ত্রণটাও ঠিক রাখতে হবে। এখানে একই সাথে হাত এবং পায়ের ব্যায়াম হয়। এই ব্যায়ামের মাধ্যমে ক্যালরি বার্ন দ্বিগুণ হয়।