কিডনির পাথর প্রতিরোধ করুন সাত উপায়ে
কিডনিতে পাথর হওয়ার যন্ত্রণা কেমন হয়, সেটি কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুরুষরা কিডনির পাথরের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তবে কিছু বিষয় জানলে কিন্তু আগে থেকেই কিডনিতে পাথর হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডি বাতলে দিয়েছে কিডনিতে পাথর দূর করার কিছু উপায়।
১. পর্যাপ্ত পানি পান
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। পানি কিডনি পরিষ্কার করে এবং ক্রিস্টাল তৈরিতে বাধা দেয়। এতে কিডনির পাথর প্রতিরোধ হয়।
ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশনের মতে পর্যাপ্ত পানি পান কিডনির পাথর হওয়া প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।
২. ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
খাবারে কম পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকলে অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায়। এর কারণে কিডনিতে পাথর হয়। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, উচ্চ পরিমাণ দুগ্ধজাতীয় ক্যালসিয়াম কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়। তবে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট কিন্তু ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
৩. অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার কম খান
অক্সালেট আছে এমন খাবার কম খাওয়া ভালো। যেমন : পালং শাক, চকোলেট, স্ট্রবেরি ইত্যাদি। কেননা এগুলো কিডনির পাথর তৈরি করতে পারে।
৪. লবণ কম খান
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার এবং লবণ কম পরিমাণে খেতে হবে। এসব খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর তৈরি করে; প্রস্রাবে প্রোটিনও বাড়িয়ে দেয়। এটি কিডনি রোগ ঘটাতে পারে।
৫. চিনি কম খান
বেশি চিনি কিডনির জন্য ভালো নয়। এটি কিডনির কার্যক্রম ব্যহত করে। এটি ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের সাথে মিনারেলের সম্পর্ককে ভারসাম্যহীন করে।
৬. লাল মাংস কম খান
প্রোটিন স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে বেশি লাল মাংস খাওয়া কিডনির পাথর তৈরি করতে পারে। এটি কিডনির বিপাকের ওপর চাপ তৈরি করে। এতে কিডনির ক্ষতি হয়। এর বদলে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে এমন সবজি খান। এগুলো কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে।
৭. ব্যায়াম
প্রতিদিন ব্যায়াম করা ওজনকে নিয়ন্ত্রণ রাখে। রোগ প্রতিরোধ করে। ওজনাধিক্য, চর্বি জাতীয় খাবার, পরিশোধিত চিনি এবং কম পানি পান এগুলো সব কিডনির ওপর চাপ ফেলে।
২০১৪ সালের আমেরিকা সোসাইটি অব ন্যাপ্রোপ্যাথি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, মধ্যম মানের ব্যায়াম করা কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম শরীরকে ভালো রাখে।