ওজন কমাবেন?
শরীরের বাড়তি ওজন কমানো অনেকের কাছেই স্বপ্নপূরণের মতো। বেশ সাধ্য-সাধনা করেও হয়তো অনেকে ওজন কমাতে পারেন না। এর জন্য দায়ী কিন্তু কিছু বাজে অভ্যাস। ওজন কমাতে ডায়েট নিয়ন্ত্রণ আর ব্যায়াম তো করতেই হবে। তবে এই বাজে অভ্যাসগুলোও বাদ দেওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড হাউস জানিয়েছে এগুলোর কথা।
১. মানসিক চাপ
হ্যাঁ, মানসিক চাপ ওজন বাড়ায়। মানসিক চাপ শরীরের বিপাকে প্রভাব ফেলে। চাপের মধ্যে থাকলে অনেকে কম খায়। আবার অনেকেরই কিন্তু বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তবে খাবার কিন্তু সমস্যার সমাধান নয়। মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করাটাই এখানে জরুরি।
২. খাবার খাওয়া বাদ দেওয়া
অনেকে ভাবেন, না খেলে বুঝি ওজন কমে। খুবই ভুল ধারণা। না খেলে কখনো ওজন কমে না, উল্টো বাড়ে। দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরপর অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া ওজনকে কমতে সাহায্য করে। খাবার খাওয়া বাদ দিলে শরীরে অপুষ্টি হয়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
অনেকে ওজন কমানোর জন্য সকালের খাবারকে একেবারেই বাদ দেন। এটি খুবই ভুল। দিনে অন্তত পাঁচবার খেতে হবে। তিনবেলা বড় খাবার ও দুইবেলা ছোট খাবার খান।
৩. বেশি কফি খাওয়া
বেশি কফি খেলে করটিসল হরমোনের পরিমাণ বাড়ে। এটি মানসিক চাপ তৈরিকারী হরমোন নামে পরিচিত। আর মানসিক চাপ ওজন বাড়িয়ে দেয়। তাই কফি খাওয়াতে সতর্ক হোন।
৪. প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খাওয়া
বেশি বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া ওজন বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ চর্বি ও চিনি। এগুলো ওজন কমাতে কোনোভাবেই সাহায্য করে না, বরং আপনার অগোচরেই শরীরে নিয়ে আসে বাড়তি মেদ, যেমন—কুকি, চিপস, কেক ইত্যাদি। এগুলো বাদ দিলে দেখবেন শরীরে আপনা থেকেই কিছুটা পরিবর্তন আসছে।
৫. পানি কম খাওয়া
ওজন না কমার আরেকটি বড় কারণ হলো পানি কম খাওয়া। অনেকে হয়তো বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাইবেন না। তবে পানি কিন্তু ওজন কমাতে বেশ কাজ করে। সকালের নাশতা করার ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে যদি নিয়মিত ৫০০ এমএল পানি পান করা যায়, তাহলে সহজেই ওজন কমে। আর দুপুরে বা রাতে ভারী খাবার খাওয়ার আগে যদি পানি খেয়ে নেওয়া যায়, তাহলেও ওজন অনেকটা কমানো সম্ভব।