বিষণ্ণতা কাটাতে টমেটো
টমেটোকে সাধাণত কার্যকরী (ফাংশনাল) খাবার বলা হয়। এটি আমাদের দেহের খাবারের চাহিদার মৌলিক পুষ্টির জোগান দেয় এবং অন্যান্য ক্রনিক রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে বলে একে কার্যকরী খাবার বা ফাংশনাল ফুড বলে।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে টমেটোকে ফল বলা হলেও, সবজি হিসেবেই এটি বেশি পরিচিত। টমেটো প্রথম চাষ করা হয় আমেরিকা অঞ্চলে। খ্রিস্টের জন্মের ৫০০ বছর আগেই অ্যাজটেক ও অন্যান্য জাতির লোকেরা টমেটোর চাষ শুরু করে। টমোটো সাধারণত সালাদ, সস ও রান্নার ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয়। আকর্ষণীয়, ভালো স্বাদ, উচ্চ পুষ্টিমানের জন্য এটি বেশ জনপ্রিয়।
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ফলিক এসিড, এন্টি অক্সিডেন্টের অন্যতম উৎস টমেটো। এর মধ্যে রয়েছে আলফা লিপোইক এসিড এবং বিটা ক্যারোটিন। এর মধ্যে চর্বি একদমই থাকে না। আলফা লিপোইক এসিড গ্লুকোজকে শক্তিকে রূপান্তিরত করে। রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণ করে। ডায়াবেটিক রোগীর চোখের ছানি পড়া থেকে রক্ষা করে।
বেশি লাইকোপিন থাকলে টমেটো লাল হয়। এটি প্রাকৃতিক এন্টি অক্সিডেন্ট। রান্না করলে এর পরিমাণ বেড়ে যায়। প্রসটেট ক্যানসার, কোলোরেকটাল ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিটা ক্যোরোটিন এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ফ্রিরেডিকেলসের কাজকে নষ্ট করে দেয়।
এর মধ্যে থাকা কোলিন নিদ্রায় পেশি সঞ্চালনে কাজ করে এবং শেখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। এটি কোষীয় ঝিল্লির সুস্থতা রক্ষা করে; স্নায়ুকে সচল রাখে। এ ছাড়া চর্বি শোষণে সাহায্য করে। শরীরে জ্বালাপোড়া ভাব কমায়।
টমেটো বিষণ্ণতা দূর করতে সহায়তা করে। শরীরে ভালো অনুভূতির হরমোন বা ফিলগুড হরমোন উৎপাদন করে। টমেটো ফুসফুস,পাকস্থলী, স্তন, মূত্রাশয়, অগ্ন্যাশয় ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এর মধ্যে কুমারিক এসিড এবং ক্লোরোজিন এসিড পাওয়া যায়। এটি ধূমপান থেকে সৃষ্ট ক্যানসারের উপাদানের বিরুদ্ধে কাজ করে। এর মধ্যে ভিটামিন এ দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
সৈয়দা তাবাসসুম আজিজ : সহকারী অধ্যাপক, খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ