কোন বয়সে শিশুকে কোন টিকা দেবেন?

শিশুকে সুস্থ রাখতে টিকা দেওয়ার বিকল্প নেই। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৪১২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক ডা. মেজবাহ উদ্দিন।
প্রশ্ন : নবজাতকের ক্ষেত্রে টিকার বিষয়টি একটু বলেন?
উত্তর : জন্মের পরপরই আমরা যে টিকা দুটো নবজাতককে দিতে বলি, সেটা হলো বিসিজি, হেপাইটিস বি। এটা সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের জনবলের অভাবের কারণে আমরা জন্মের সঙ্গে সঙ্গে এটা দিতে পারছি না। আমরা দিচ্ছি ৪২ দিন বয়স হলে, ছয় সপ্তাহ হলে। তখন কী দিই আমরা। একটা বিসিজি দিই। ডিপিটি- ডিপথেরিয়া, পারটুসিস, টিটিনাস।
এর সঙ্গে আমরা দিচ্ছি বিসিবি, নিউমোকক্কাল ভ্যাসকিন। তাহলে তিনটি টিকা দিচ্ছি। আরেকটি পলিও ভ্যাকসিন খাইয়ে দিচ্ছি। এভাবে ছয় সপ্তাহ চলে গেল।
এরপর চার সপ্তাহ পর আবার আমরা প্যান্টাভ্যানেল দিচ্ছি। তার সঙ্গে একটি নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দিচ্ছি। এই ১০ সপ্তাহ। এরপর ১৪ সপ্তাহে আমরা ওই একই্ রকম প্যান্টা ভ্যালেন দিচ্ছি। আর ওরাল পলিও খাওয়াচ্ছি। আর নিউমোকক্কালটা এখানে দিচ্ছি না। আরেকটু পরে দিচ্ছি। পরে গিয়ে আমরা তাকে আবার ইনজেকশনের মাধ্যমে পলিও দিচ্ছি। সেখানে আবার তাকে আমরা নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন দিচ্ছি।
পরে নয় মাসে আমরা তাকে দিচ্ছি মিজেলস আর রুবেলার টিকা। আর ১৫ মাসে গিয়ে তাকে আবার আমরা দিচ্ছি মিজলস। তার সঙ্গে ওই সময় ইনজেকশনের মাধ্যমে পলিও দেওয়ার কথা। এটা হলো বর্তমান শিডিউলটা।
এটা আসলে বাবা-মায়ের জানার এত দরকার হয় না। একটি ইপিআই সেন্টারে গেলেই তারই দিয়ে দেয়। তবে ছয় সপ্তাহ সময় হলেই প্রত্যেক শিশুকে ইপিআই সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে।
আর একটি জিনিস না বললেই নয়, এই টিকাগুলো যে নেওয়া হয়েছে, এটি আমাদের বহু অংশেই নিউমোনিয়াকে প্রতিরোধ করেছে।
তবে আপনার মাধ্যমে একটি কথা বলব আমরা যদি এমএমায়ার যদি দিই, মামসের যেই সমস্যাটি আমরা দেখি, আমার মনে হয় আরো উপকৃত হবে। এটি সরকারের কাছে আমার আবেদন থাকবে। বাংলাদেশে শিশু চিকিৎসক সমিতির সাবেক মহাসচিব হিসেবে আবেদন করব এই জিনিসটি তাদের চিন্তায় নিয়ে আসতে।