গ্যাসের সমস্যায় ভুগলে কী করবেন?
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তীব্র পাকস্থলীর ব্যথায়। চিকিৎসকের কাছে বলার সময় জেনিফার তাঁর ভাজা এবং চর্বিজাতীয় খাদ্যপ্রীতির কথা লুকাননি।প্রথমে ভাবা হয়েছিল তিনি আলসারের সমস্যায় ভুগছেন। এন্ডোসকপির পর দেখা গেল, তিনি পেটের গ্যাসের সমস্যায় ভুগছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে গ্যাস প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব পরামর্শ।
গ্যাস কি খুব ব্যথাদায়ক হয়?
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ড. অমিত সারাফ বলেন, গ্যাসের কারণে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা তৈরি হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত ওপরের পেটে হয় এবং বমি বমি ভাব হয়। কখনো কখনো বমি হয় এবং বুক জ্বালাপোড়া করে।
এ বিষয়ে ডা. মোফাজ্জল লাকদাওয়ালা জানান, বেশি চর্বিজাতীয় খাবার গ্রহণের পর পাকস্থলী ব্যথা করে। এটি ধূমপায়ী এবং যাঁরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও হয়। গ্যাস পাকস্থলীর আলসার, পিত্তথলির পাথর, এসিড রিফ্লাক্স এবং পেটে অস্বস্তির একটি লক্ষণ। এটি একসঙ্গে অনেকগুলো ব্যথা তৈরি করে।
ডা. লাকদাওয়ালা বলেন, গ্যাস হওয়ার একটি বড় কারণ আমাদের খাবারদাবার। গ্যাস দূর করতে চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে পারলে ভালো। এর চিকিৎসায় চিকিৎসকরা সাধারণত অ্যান্টাসিড ব্যবহার করে থাকেন। তবে কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া গ্রহণ করা ঠিক নয়।
যদি ব্যথা ক্রমাগত চলতে থাকে, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নয়তো সমস্যা আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে।
ডা. সারাফ বলেন, দুই থেকে দেড় লিটার পানি পান করা এবং নিয়মিত হাঁটা পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
পেটের গ্যাস প্রতিরোধে
• চর্বিযুক্ত এবং ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
• ফল ও সালাদ নিয়মিত খান।
• সময়মতো খাবার খান, কোনো বেলার খাবার বাদ দেবেন না।
• প্রতিদিন দুই থেকে দেড় লিটার পানি পান করুন।
• নিয়মিত ব্যয়াম করুন।
• সঠিকভাবে ঘুমান।
• চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন।
• ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন।