শ্বাসকষ্ট কমাতে পাঁচ আয়ুর্বেদিক উপাদান
দূষণের কারণে আজকাল অনেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদিক উপাদান আপনাকে অনেকটাই সাহায্য করতে পারে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানগুলোর ব্যবহার শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাগুলো হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। তবে কোন সময় কোন উপাদান ব্যবহার করবেন তার জন্য বিশেষজ্ঞের নির্দেশনা প্রয়োজন।
রসুন এবং হলুদ
ডাঃ অমিত দেশপান্ডে, একজন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক বলেন, “রসুন এবং হলুদ এমন উপাদান যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। শ্লেষ্মা দ্রবীভূত করতে সহায়তা করে। যা কিনা হাঁপানি বাড়িয়ে তুলতে ভূমিকা রাখে। এই উপাদানগুলো খেলে ঠাণ্ডা প্রকৃতির শ্লেষ্মা শরীরে জমাট বাঁধে। এটি যখন গলে যায়, তখন শরীরের প্রদাহ কমতে থাকে। ফলস্বরূপ, ফুসফুসের শ্বাসনালীর জন্য একটি পরিষ্কার পথ তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত হাঁপানি রোগীদের শ্বাসকষ্টের সমাধান করে। হাঁপানি রোগীরা তেল, ক্যাপসুল এবং ট্যাবলেট আকারেও এই উপাদানগুলো গ্রহণ করতে পারেন”।
আদা
আদা কেবল গলা থেকে শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে না। বরং শ্বাসকষ্টের জন্যও উপকারি। আদার উপাদানগুলো শ্বাসনালীর পেশীকে শিথিল করে। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী সুপারফুড। আদা প্রায় ৫০০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ওষুধ এবং চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আরও ভাল ফলাফলের জন্য, হাঁপানির রোগীরা গুড়ের সাথে আদা গুঁড়ো খেতে পারেন। আবার চায়ের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। মিশ্রণটি সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা নিরাময়ের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে।
তুলসী
ডঃ দেশপান্ডে পরামর্শ দেন, “তুলসী, আয়ুর্বেদের একটি জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান। এতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে। যা কেবল সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে না, বরং শরীরের শ্বাসযন্ত্রের শক্তিতেও সাহায্য করে। চায়ের সাথে তুলসী বা মধুর সাথে তুলসী পাতার রস পান করুন। এটি হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি এবং সর্দিতে আক্রান্ত রোগীদের উপশম করতে সহায়তা করতে পারে”।
কালমেঘ
কালমেঘ আরেকটি আয়ুর্বেদিক উপাদান। এটি শ্বাসকষ্ট কমাতে সহায়তা করে। এতে অ্যান্টি-প্রদাহ, অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়া এবং ইমিউন-উত্তেজক বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ভাসাকা
ডঃ দেশপান্ডের মতে, “হাঁপানি রোগীদের জন্য আরেকটি উপাদান হল ভাসাকা। এটি আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত একটি সাধারণ উপাদান। শ্বাসযন্ত্রের একটি শক্তিশালী অ্যাক্টিভেটর হিসাবে কাজ করে। হাঁপানি ছাড়াও এটি ব্রঙ্কাইটিস এবং ফুসফুসের অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় সহায়তা করে”।
সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া