প্রায় আমাদের মিষ্টি খাবার খাওয়ার তাগিদ দেখা দেয়। চকলেট, কেক, পেস্ট্রি দেখলেই খেতে মন চায়। গবেষকদের মতে, চিনির লোভ আপনার মস্তিষ্কের অবস্থার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। এর জন্য হিপোক্যাম্পাস দায়ী।  হিপোক্যাম্পাস মিষ্টি স্বাদ মনে রাখতে সাহায্য করে। মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছাকে জাগ্রত করে।

বেশি মিষ্টি স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে ক্ষতিকর হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিপদ হল রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া।  সময়মতো নিয়ন্ত্রণ না করা হলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এর পাশাপাশি, স্থূলতা, হৃদরোগ এবং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও বেড়ে যায়। তাই মিষ্টি খাওয়ার তৃষ্ণা মিটানোর চেষ্টা করুন। খাদ্য তালিকা থেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিন।

খাদ্য আকাঙ্ক্ষার সাথে সেরোটোনিন সম্পর্কিত। সেরোটোনিন একটি নিউরোট্রান্সমিটার। যা মেজাজকে প্রভাবিত করে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, মস্তিষ্কে সেরোটোনিনের ভারসাম্যহীনতা বিষণ্নতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আর তখনই আপনার কার্বোহাইড্রেট বা মিষ্টি খাওয়ার তীব্র ইচ্ছা হয়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সব সময় চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন।  এটি স্বাস্থ্য, ত্বক, চুল সব কিছুর ক্ষতি করে। এই কারণেই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া কমানোর পরামর্শ দেন।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া