কখন হাঁটলে হজমশক্তি উন্নতি হবে?

শরীর সুস্থ রাখতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা প্রয়োজন। আর কার্যকরী শরীরচর্চার মধ্যে অন্যতম হলো হাঁটাহাঁটির অভ্যাস। নিয়ম মেনে হাঁটলে ওজন ঝরানো, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানো বা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা সম্ভব। ভরা পেটে না কি খালি পেটে হাঁটলে বেশি উপকার? এই নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। দু‘ভাবে হাঁটলেই ক্যালোরি ঝরে। কিন্তু কোনটিতে বেশি উপকার?
খালি পেটে হাঁটা
ভারতীয় পুষ্টিবিদ ফারেহা শনম বলছেন, ‘‘যারা কেবল ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের খালি পেটে হাঁটা উচিত। এটিকে ‘ফাস্টিং কার্ডিয়ো’ বলা হয়।’’ খালি পেটে হাঁটার সময় খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি বা গ্লুকোজ পায় না শরীর। তাই হাঁটার শক্তি পাওয়ার জন্য শরীর বাধ্য হয়ে জমে থাকা অতিরিক্ত ফ্যাট ঝরাতে শুরু করে। ফলে ওজন হ্রাস পায়। খালি পেটে প্রতিদিন সকালে হাঁটার অভ্যাস থাকলে হজমের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে। তা ছাড়া সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটলে শরীর ভিটামিন ডি বেশি পরিমাণে পায়।
চিকিৎসকরা আরও বলেন, হাঁটার সময়ে সঙ্কোচন-প্রসারণের জন্য পেশিগুলো রক্ত থেকে শর্করা গ্রহণ করে। কিন্তু না খেয়ে হাঁটার সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে। পেশির শক্তির জোগান দিতে তখন লিভার গ্লাইকোজেনগুলোকে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত করে।
ভরা পেটে হাঁটা
খাওয়ার পরে হাঁটারও একাধিক উপকারিতা রয়েছে। খাওয়ার পর হাঁটলে শরীর সেই খাবার থেকেই পাওয়া গ্লুকোজকে শক্তির জন্য ব্যবহার করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও খালি পেটে হাঁটার তুলনায় ভরা পেটে হাঁটায় কম ক্যালোরি ক্ষয় হয়, তবুও খাওয়ার পর ১০-১৫ মিনিট হাঁটলে হজমশক্তি উন্নত হয় এবং গ্যাস-ব্লোটিংয়ের সমস্যা কমে যায়।