৫ সেকেন্ডে শাড়ি পরতে চান?
বৈশ্বিক পোশাক হিসেবে শাড়ির ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। শাড়ি পরার বিভিন্ন ধরন আছে। বাঙালি নারীর প্রথম পছন্দ শাড়ি। যদিও এখন শহরাঞ্চলের নারী উৎসব-অনুষ্ঠানে শাড়ি পরছেন বেশি, আর এর কারণও রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, শাড়ি পরতে অনেক সময় ব্যয় হয়। পরার প্রক্রিয়াও কিছুটা জটিল তাঁদের কাছে।
যদি আপনি ওই অভিযোগকারিণীদের একজন হন, তবে জেনে রাখুন, দ্রুতই আপনি এসব থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন। শাড়ি পরার প্রক্রিয়া সহজতম করতে ডিজাইনাররা তাঁদের নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সফলও হয়েছেন।
উদাহরণ হিসেবে ভারতের ডিজাইনার পুরুশু আরিয়ের কথাই বলা যাক। তিনি এমন এক ধরনের শাড়ির ডিজাইন করেছেন, যেটি মাত্র পাঁচ সেকেন্ডেই পরা যায়।
এটি ‘বাহুখোলা শাড়ি’ হিসেবে পরিচিত। এটি পরার জন্য আসলে সময়ই ব্যয় করতে হয় না। আর সামান্য চেষ্টাতেই তা অনায়াসে পরা যায়। বড় গোলাকার অংশে মাথাটা ঢুকিয়ে দেবেন, আর ছোট খোলা অংশে হাত দুটো—ব্যস, শাড়ি পরা হয়ে গেল!
শুধু সময়ই যে বেঁচে যাচ্ছে, তা নয়; আরো লাভ আছে—তার মধ্যে একটি হলো, আঁচলের সঙ্গে ব্লাউজের পিন মারা নিয়ে আপনাকে কখনো চিন্তা করতে হবে না!
শাড়িটির সাইজও তেমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যে কেউ শাড়িটি পরতে পারবেন। অবশ্য দৈহিক গড়ন ‘অস্বাভাবিক’ ব্যতিক্রম হলে অন্য কথা। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ডিজাইনার পুরুশু বলেন, দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজিতে (এনআইএফটি) স্নাতক পড়ার সময় প্রথম এ শাড়ির ডিজাইন করেছিলেন তিনি।
‘স্নাতক শোর র্যাম্পে যখন বাহুখোলা শাড়িটি প্রদর্শিত হয়, তখনই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। মঞ্চের পেছন থেকে দেখা ওই মুহূর্ত এখনো বহন করে চলেছি। পরে অবশ্য এর ডিজাইনের উন্নতিও করেছি। ডিজাইনার হিসেবে আমার কাজ হলো, সহজে সমাধান করা।’
তো, বাঙালি নারীর চিরায়ত শাড়িসাজের সুদিন শহরেও নিশ্চয়ই ফিরছে!