ঋণ পরিশোধের উপায় কী
মানুষের জীবনে চাহিদার শেষ নেই। মাসিক আয় থেকে ব্যক্তিগত জীবনের প্রয়োজন মেটানোর পর চাহিদা অনুযায়ী শখ পূরণ করতে অনেককেই হিমশিম খেতে হয়। তখনই ব্যাংকের দ্বারস্থ হতে হয় ঋণ সুবিধার জন্য। কিন্তু অনেক সময় সেই ঋণ গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়। কারণ প্রতি মাসে তখন ঋণ পরিশোধের টাকাটা বাড়তি ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। এই ঝামেলা এড়ানোর কিছু সহজ উপায় তুলে ধরা হয়েছে রিডার্স ডায়জেস্টে। চলুন, একনজরে দেখে নিই কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন-
বাজেট তৈরি করুন
প্রথমে পুরো মাসের একটি বাজেট তৈরি করুন। হিসাব করে নিন এই মাসে আপনি কোথায় কী খরচ করবেন। এরপর সেখান থেকে টাকা জমানোর চেষ্টা করুন। প্রতি মাসে চেষ্টা করুন কিছু বাড়তি টাকা জমানোর। যাতে ঋণ পরিশোধ করতে সুবিধা হয়।
ঋণের টাকাকে অগ্রাধিকার দিন
মাসের প্রথমে বেতন পাওয়ার পর বাসা ভাড়া শোধ করুন। এরপর বিল সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিশোধ করে ফেলুন। এর পরপর ঋণের টাকা পরিশোধ করার চেষ্টা করুন। যে জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয় সেগুলো ঋণ পরিশোধের কয়েকটা মাস এড়িয়ে চলুন।
টাকা পরিশোধ করার ছক তৈরি করুন
চেষ্টা করুন দ্রুত ঋণ শোধ করার। আর সম্ভব না হলে ঋণদাতাদের সঙ্গে মধ্যস্ততা করার চেষ্টা করুন। টাকা শোধ করতে সময় লাগছে এবং আপনি টাকা শোধের জন্য চেষ্টা করছেন কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে সম্ভব হয়ে উঠছে না তখন বিষয়টি তাদের বুঝিয়ে বলুন। হয়তো সেই ব্যাংকে কোনো নিয়ম রয়েছে অল্প অল্প করে টাকা পরিশোধ করার। সেই নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন। আর যদি আপনি এমনটি না করে ব্যাংককে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে ব্যাংক আপনাকে কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। অতএব বিষয়টিকে কোনোভাবে হেলাফেলা করবেন না। না হলে অনেক বড় রকমের বিপদে জড়িয়ে যেতে পারেন।
ঋণদাতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন
কখনোই ঋণদাতাদের এড়িয়ে চলবেন না। এতে বিপদ বাড়তে পারে। তাদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। এটা কখোনোই ভাবা উচিত না যে আপনি তাদের ফোন ধরছেন না বা নোটিশগুলো এড়িয়ে চলছেন এর কোনো পাল্টা ব্যবস্থার কথা তারা ভাবছে না। তাদের জানান আপনার পরিস্থিতির কথা। তারা কিছুটা হলেও চেষ্টা করবে আপনার যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবে ঋণ পরিশোধের।
আয় বাড়ানোর চেষ্টা করুন
যদি কোনোভাবেই আপনার আয় দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব না হয় তাহলে চেষ্টা করুন অন্য একটি খণ্ডকালীন চাকরি নেওয়ার। তাহলে দ্রুত ঋণ শোধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর যে জিনিসগুলো প্রয়োজনীয় না সেসব জিনিস বিক্রি করে ঋণের কিছুটা শোধ করতে পারেন।
এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া থেকে বিরত থাকুন
একটা ঋণ পরিশোধের পর অন্য একটি ঋণে জড়াবেন না, যতক্ষণ না অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ব্যাংকের বিলগুলো সময়মতো পরিশোধ করার চেষ্টা করুন। বেশি দেরি করলে একসঙ্গে অনেকটা চাপ হয়ে যায়। তখন ব্যক্তিজীবনের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ঋণের টাকা শোধ করার বাড়তি ঝামেলা তৈরি হয়। তাই এই বিষয়গুলো সময় অনুযায়ী পরিশোধ করার চেষ্টা করুন।