গর্ভধারণের আগে পরামর্শ কেন জরুরি?
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন। তবে গর্ভধারণের আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এটি কেন?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৬৭তম পর্বে কথা বলেছেন ড. রওশন আরা বেগম। তিনি হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট হসপিচালে প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রশ্ন : গর্ভকালীন যত্ন ও পরিচর্যার মধ্যে কোন বিষয়গুলো পড়ে?
উত্তর : গর্ভধারণের আগে থেকে শুরু করতে চাই। গর্ভধারণের আগে যে কাউন্সেলিং, এটা কিন্তু আমাদের দেশে এতো ভালোভাবে এখনো শুরু হয়নি। বাচ্চা নেব পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা করার সময়, বাচ্চার নেওয়ার আগেই চিকিৎসকের কাছে আসা।
এখন ক্যারিয়ার গড়ার বিষয় রয়েছে। এর সঙ্গে শারীরিক কিছু বিষয় থাকে। গর্ভকালে যেন জটিলতা না হয়, এ জন্যও কিন্তু আমরা আগে থেকে কিছু ওষুধ দিয়ে থাকি। ফলিক এসিড ওষুধটি যদি গর্ভধারণের অন্তত তিন মাস আগে থেকে শুরু করে, তাহলে গর্ভের সময় যে অনেক জন্মগত ত্রুটি তৈরি হয়, সেগুলো হয় না। তাহলে আমি যদি বাচ্চা নিতে চাই, আমার আগে থেকে সেটি পরিকল্পনা করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ বা যেকোনো স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নিয়েই বাচ্চা নেওয়া উচিত।
আসলে একজন মা যখন বাচ্চা নিচ্ছে, তখন সম্পূর্ণ পরিবারকে চিন্তা করতে হবে। পরিবারের সবাইকেই ভাবতে হবে, আমাদের বাড়িতে একজন নতুন অতিথি আসছেন, যিনি নিচ্ছেন, তিনি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ মানুষ সম্পূর্ণ পরিবারের জন্য। ওই পরিবারের সবার তার প্রতি যত্ন নিতে হবে। যত্নটা এ রকম যে শারীরিক, মানসিক সবদিক থেকে। ওই সময় দেখবেন যে মানসিক টর্চার সারাক্ষণ হয়। শরীর ভালো লাগে না, বমি করে অস্থির হয়ে যায়, কাজের চাপের মধ্যে থাকে। এ জন্য সবাই মিলে যদি তাকে সাহায্য করে মানসিক দিক থেকে তাহলে ভালো।
কোনো বিশেষ ডায়েট আমরা তখন করতে বলি না। তার যা খেতে ভালো লাগবে, সেটাই খাবে। আর স্বাভাবিকভাবে সবাই যা খাচ্ছে, তা সে খাবে। আমরা সাধারণত বলি, ওর জন্য এক টুকরো বেশি রাখতে। এক টুকরো মাছ বেশি দাও, এক বাটি ডাল বেশি দাও। একটু সবজি বেশি করে দাও। এক মুঠো ভাত বেশি করে দাও।