বন্ধ্যত্বের কারণ নির্ণয়ে কী পরীক্ষা করতে হয়?
এন্ড্রোমেট্রোসিস, টিউবের সমস্যা, পর্যাপ্ত শুক্রাণু উৎপাদনে সমস্যা ইত্যাদি বন্ধ্যত্বের কারণ। বন্ধ্যত্ব নির্ণয়ে কী পরীক্ষা করা হয়?
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৮৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারজানা দীবা। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফার্টিলিটি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্ব কী কারণে হচ্ছে, নির্ণয়ে কী পরীক্ষা দিয়ে থাকেন?
উত্তর : প্রথমে আমরা বলি, এক বছর খুব জরুরি ব্যাপার । এক বছরের আগে আসলে আমরা একটু কাউন্সেলিং করি। কোন সময়টা বিপজ্জনক সময় বা কোনটি সন্তান আসার উপযুক্ত সময়—এ ধরনের পরামর্শ দিই। আর কিছু ফলিক এসিড জাতীয় ওষুধ দিয়ে দিই। ফলিক এসিড এ জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে এটি কিন্তু জন্মগত ত্রুটিকে অনেকাংশে কমায়।
যদি এক বছর পরে আসে বা অন্য সমস্যা নিয়ে আসে, যেগুলো জরায়ুতে বন্ধ্যত্বের সমস্যা করতে পারে, অথবা সমস্যা রয়েছে বা স্বামী বিদেশে থাকে বা সার্জারি রয়েছে জরায়ুতে, সে ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষা দিয়ে দিই।
স্বামীর ক্ষেত্রে মূলত তার শুক্রাণুর পরিমাণ কেমন রয়েছে, এটি দেখি। আর স্ত্রীর ক্ষেত্রে জরায়ুতে কোনো সমস্যা রয়েছে কি না, নিয়মিত ডিম্বোস্ফোটন হচ্ছে কি না দেখি। এ ছাড়া অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা যেমন থাইরয়েডের মতো কোনো সমস্যা রয়েছে কি না দেখি। সেইসঙ্গে স্ত্রীর টিউবটা খোলা রয়েছে কি না দেখি।
বন্ধ্যত্বের পরীক্ষাগুলো আমরা ধাপে ধাপে করি। প্রথমে আমরা কিছু মূল পরীক্ষা দিয়ে শুরু করি। এরপর কিছু ওষুধ দিই, কাউন্সেলিং করি। না হলে টিউব টেস্ট করি। তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত আমরা দেখি। প্রথমেই হয়তো দেখা গেল, রোগীর জরায়ুতে টিউমার পাওয়া গেল বা টিউবটা বন্ধ পাওয়া গেল, সেই ক্ষেত্রে অপেক্ষার সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা চিকিৎসার কথা বলে দিই।
আবার অনেক ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপির কথা বলি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ল্যাপারোস্কোপির পরের ধাপ হলো, আইইউআই।