জাদুকরি রাত শেষে নাদালের স্বস্তির হাসি
ফ্রেঞ্চ ওপেনের মঞ্চে টেনিসের দুই মহাতারকা মুখোমুখি। স্বাভাবিকভাবে তুমুল লড়াই যে হবে সেই আভাস মিলছিল আগেই। লড়াইয়ের মঞ্চে সেটাই হয়েছে। চার ঘণ্টা ১২ মিনিট লড়ছেন টেনিসের দুই তারকা নোভাক জকোভিচ ও রাফায়েল নাদাল। শ্বাসরুদ্ধকর এই লড়াই শেষে জয়ের হাসি হেসেছেন ক্লে কোর্টের রাজা রাফায়েল নাদাল।
অথচ ম্যাচের আগেও তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিল নড়বড়ে। কোয়ার্টার ফাইনালের আগ পর্যন্ত এক সেটেও না হারা জকোভিচকে হারানো অনেকটা কঠিন চ্যালেঞ্জই ছিল নাদালের জন্য। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে জিততে জান-প্রাণ দিয়ে লড়েছেন নাদাল। টেনিসের এক নম্বর তারকাকে হারানোর এই রাতটি তাইতো ‘জাদুকরি’ রাত হয়ে রইল স্প্যানিশ তারকার কাছে।
প্যারিসে বাংলাদেশ সময় মাঝরাতে শুরু হয় টেনিসের দুই মহাতারকার লড়াই। অবশেষে সেই লড়াই থামে ভোর চারটায়। লম্বা সময় হওয়া এই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত নাদালের কাছে ৬-২, ৪-৬, ৬-২, ৭-৬ (৭-৪) গেমে হেরে ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে বিদায় নিলেন সার্বিয়ান তারকা জকোভিচ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে ম্যাচ শেষে নাদাল জানালেন নিজের স্বস্তির কথা, ‘ভালোবাসা জানানোর জন্য প্যারিসের সবাইকে ধন্যবাদ। আসলে নোভাককে হারাতে একটাই প্রয়োজন সেটা হলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টের জন্য জান-প্রাণ দিয়ে লড়াই করা। খুব আবেগ কাচ করছে। আমার কাছে এখানে খেলা মানে বিশেষ কিছু। ওর(নোভাক জকোভিচ) বিপক্ষে খেলা আমার জন্য সব সময় অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জের মতো। এটি আমার জন্য জাদুকরি রাতগুলোর মধ্যে একটি।’
জয়ের উচ্ছ্বাসে ভাসা নাদালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জকোভিচও। নাদালের মানসিকতার প্রশংসাকে জকোভিচ বলেন,‘রাফাকে অভিনন্দন। তিনি দেখিয়েছেন তিনি কেন একজন দুর্দান্ত চ্যাম্পিয়ন। তিনি মানসিকভাবে শক্ত ছিলেন। তিনি যে যোগ্য এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি যতটা ভালো শুরু করেছেন আমি ততটা পারিনি। আর সে নিজের টেনিস খেলাটাকে অন্য স্তরে নিয়ে যেতে পেরেছে। রাফা ও তাঁর দলের জন্য শুভকামনা।’
চলতি বছরের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে পুরুষ এককে রেকর্ড ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড গড়েছিলেন নাদাল। সংখ্যাটাকে এবার বাড়িয়ে নেওয়ার অপেক্ষা তাঁর।
সেমিফাইনালে আগামী শুক্রবার তিনি মুখোমুখি হবেন আলেক্সান্ডার জেভেরেভের বিপক্ষে। তাঁকে হারাতে পারলেই আরেকটি ফাইনালের দেখা পাবেন এই স্প্যানিশ তারকা।