তামিমদের বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা
বাঁচা-মরার ম্যাচে আফিফ হোসেনের ব্যাটে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল ফরচুন বরিশাল। শেষ পর্যন্ত পারল না তামিম ইকবালের দল। বরিশালকে ৯ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের কোয়ালিফায়ারে উঠল মুশফিকুর রহিমের বেক্সিমকো ঢাকা।
আগামীকাল মঙ্গলবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের ঢাকা মুখোমুখি হবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে পরাজিত দলের বিপক্ষে। অন্যদিকে হার নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে তামিমের বরিশাল।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে আট উইকেটে ১৫০ রান করে বেক্সিমকো ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভারে ১৪১ রানে থামে ফরচুন বরিশালের ইনিংস।
এদিন বেক্সিমকো ঢাকার দেওয়া ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন তামিম-সাইফ। ২.৪ ওভারে সাইফকে সরাসরি বোল্ড করেন শফিকুল। ৯ বলে ১২ রান করে ফেরেন বরিশালের ওপেনার। এরপর তিনে ব্যাট করতে নামা পারভেজকে টিকতে দেননি রবিউল ইসলাম রবি। দলীয় ৫৯ রানে তামিমকে আউট করেন মুক্তার আলী। দুই বাউন্ডারি ২৮ বলে ২২ রান করে ফেরেন বরিশাল অধিনায়ক।
এরপর আফিফ-তৌহিদের ৩৭ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে বরিশাল। ১৬তম ওভারে তৌহিদকে ফিরিয়ে ওই প্রতিরোধ ভাঙেন আল আমিন। একই ওভারে শুভকে এলবির ফাঁদে ফেলেন আল আমিন।
সতীর্থদের হারানোর মিছিলে টিকে ছিলেন আফিফ। বাকিদের নিয়ে আশা জাগিয়ে তোলেন তিনি। ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু ৫০ ছোঁয়ার পর বেশিদূর এগোতে পারেননি। আশা জাগিয়ে ফিরে যান আফিফ।
শফিকুল ইসলামের বলে উইকেটকিপার মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন আফিফ (৫৫)। শফিকুলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল উপরে উঠে গেল ক্যাচ নিতে দৌড়ান মুশফিক, পেছন দিয়ে নাসুমও ছুটে আসেন। তবে ক্যাচ নিয়ে নেন মুশফিক, ক্যাচ নিয়ে নাসুমের উপর রাগ ঝাড়েন ঢাকার অধিনায়ক। দ্রুত উইকেট হারানোর পর বেশিদূর যেতে পারেনি বরিশাল। শেষ পর্যন্ত ১৪১ রানে থামে তামিমের দল।
এর আগে প্রথম ইনিংসে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই নাঈমকে ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফাইন লেগে শট খেলতে চেয়েছিলেন নাঈম, তবে সেখানে থাকা তাসকিন আহমেদ ক্যাচ তালুবন্দি করে নাইমকে সাজঘরের পথ দেখান। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা নাঈম ফিরলেন ৫ রানে।
পরের ওভারে তিনে ব্যাট করতে নামা আল আমিনকে ফেরান তাসকিন। ডানহাতি এই বোলারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোকাবিলা করতে গিয়ে উইকেটকিপারের হাতে তুলে দেন আল আমিন। ফিরে যান সাব্বিরও।
তিন উইকেট হারানোর পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইয়াসির রাব্বি। এই জুটিতে ৫০ রান তোলে ঢাকা। চতুর্থ উইকেটে ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন দুজন। শক্তিশালী এই জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। ১২.৪ ওভারে রাব্বির করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল ঠেকিয়ে একরান নিতে চেয়েছেন মুশফিক। কিন্তু নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে থামিয়ে দেন রাব্বি। চার বাউন্ডারি এক ছক্কায় ৩০ বলে ৪৩ রানে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক।
টিকতে পারেননি আকবর আলীও। ২১ রানে আকবরকে বিদায় করেন মিরাজ। গ্রুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ইয়াসিরের ব্যাটে চড়ে ১৫০ রান সংগ্রহ করে বেক্সিমকো ঢাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বেক্সিমকো ঢাকা : ২০ ওভারে ১৫০/৮ (নাঈম ৫, আল আমিন ০, সাব্বির ৮, মুশফিক ৪৩, আকবর ২১ , ইয়াসির ৫৪, মুক্তার ৬, রবিউল ৫, নাসুম ১ ; তাসকিন ৪-০-২১-১, মিরাজ ৪-০-২৩-২, সুমন ৪-০-৩৩-০, শুভ ৪-০-৩২-১, রাব্বি ৪-০-৪০-২)।
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৪১/৯ (তামিম ২২, সাইফ ১২, পারভেজ ২, আফিফ ৫৫, তৌহিদ ১২,শুভ ০, মিরাজ ১৫, অঙ্কন ১৫, সুমন ৫; রবিউল ৪-০-১৫-১, নাসুম ২-০-২৫-০, রুবেল ৪-০-২২-০, মুক্তার ২-০-১৮-৩, শফিকুল ৪-০-৩৯-৩, আল আমিন)।
ফল : ৯ রানে জয়ী বেক্সিমকো ঢাকা।